রাজশাহীতে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন দুইজন

0
1090

গড়াইনিউজ২৪.কম:: রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার পর আপিল করে দুই প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এদের মধ্যে একজন মেয়র পদের এবং অপরজন সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের প্রার্থী। মেয়র প্রার্থীর নাম মুরাদ মোরশেদ। তিনি একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে বামপন্থী সংগঠন গণসংহতি আন্দোলন তাকে সমর্থন দিয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিন গত রবিবার তার প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম জিল্লুর রহমান। তিনি ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন গত সোমবার তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। মনোনয়নপত্রে মুরাদ মোরশেদের সমর্থকের জাল স্বাক্ষর থাকার অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। আর জিল্লুর রহমান সিটি করপোরেশনের ঠিকাদার বলে প্রার্থিতা হারিয়েছিলেন। তবে এই দুই প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমানের কাছে আপিল করেন। সেখানে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে তাদের বৈধ প্রার্থী বলে ঘোষণা করা হয়। সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় এক মেয়র ও তিন কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার শুধু এই দুই প্রার্থী আপিল করেছিলেন। এ নিয়ে বুধবার সকালে শুনানি হয়। সেখানে নিজেদের বৈধতার স্বপক্ষে প্রার্থীরা প্রমাণ দেখালে তাদের প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে এখন মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিলে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২২৫ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে ছয়জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬৭ জন এবং সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৫২ জন প্রার্থী রয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ মোরশেদ ছাড়া মেয়র পদের অন্য প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, জাতীয় পার্টির ওয়াসিউর রহমান দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শফিকুল ইসলাম। আগামী ৯ জুালই পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে। পরদিন বরাদ্দ করা হবে প্রতীক। এরপর আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামতে পারবেন প্রার্থীরা। ভোটগ্রহণ করা হবে ৩০ জুলাই। ৩০টি ওয়ার্ডে এবার ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৮টি।