কুষ্টিয়া সরকারি হাঁস মুরগী খামারের পিডিও শাহিনা বেগমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ!

0
1693
পিডিও শাহিনা বেগমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ

কুষ্টিয়া অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন ঠিক তখনই পিডিও শাহিনা বেগমের মত দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতি করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কুষ্টিয়া সরকারি হাঁস মুরগীর খামার পিডিও শাহিনা বেগমের দুর্নীতির শেষ কোথায়? সূত্র মতে জানা যায়, সরকারি হাঁস মুরগী বিক্রি করে কাস্টমারকে রিসিভ দেয় ১০ হাজার টাকার, পরে তারই নকল কপি সরকারি খাতায় জমা করে ৫ হাজার টাকা এরকম অসংখ্য সরকারি ভাউচারের মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। আরো জানা যায়, অফিসে একটি মাত্র কম্পিউটার ক্রয় বাবদ বিল করেছেন ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা আবার একই কম্পিউটার মেরামত বাবদ খরচ দেখিয়েছেন দুই লক্ষ আশি হাজার টাকা এবং সরকারি ঔষধ কেনা বাবদ ভুয়া ভাউচারের ও ঔষধ কেনা বাবদ বিল করেছেন ১০ লক্ষ টাকার এবং অন্যান্য মনিহারি বাবদ বিল করেছেন ১০ লক্ষ টাকা যার বাস্তবে কিছুই নাই এবং খাদ্য ক্রয়সহ ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে তার নিজের আত্মীয় কাজ পাইয়ে দেয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী জানান। সরেজমিনে জানা যায়, খাদ্য ক্রয় করার জন্য মোট পাঁচ জন ঠিকাদার বিভিন্ন রেটে দরপত্র জমা দেয়, এদের মধ্যে মেসার্স নজরুল এন্ড ব্রাদার্স ১৩,৯০,৭৬৭ টাকা, সামিয়া এন্টারপ্রাইজ ১৪,৬০,৩০৮ টাকা, দিহান এন্টারপ্রাইজ ১৪,৯১,৫৭৪ টাকা, রুহুল এন্টারপ্রাইজ ১৪,৯৬,৪৭৪ টাকা, দেওয়ান এন্টারপ্রাইজ ১৫,৯৫,৭৪০ টাকা। এদের মধ্যে কাজ পায় দেওয়ান এন্টারপ্রাইজ। জানা যায়, ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দেওয়ান এন্টারপ্রাইজ কে কাজ পাইয়ে দেয় পিডিও শাহিনা বেগম। উপর মহল কে ম্যানেজ করে তার সিনিয়র অফিসার কল্পনা রাণী (ম্যানেজার) থাকা সত্তেও ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার হিসাবে বহাল তবিয়তে শাহিনা বেগম দায়িত্ব পালন করে আছেন। যেন দেখোর কেউ নেই!
অফিস সহকারী থাকা সত্তেও নাইট গার্ড দিয়ে সকল বিল ভাউচার করে থাকেন এবং খাদ্য ক্রয় করে যে বস্তাগুলো জমা হয় সে বস্তা বিক্রয় করে তার কোন টাকা সরকারি খাতায় জমা দেয় না এবং মুরগীর লিটার প্রতি বস্তা ১০০ টাকা হারে বিক্রয় করে সেটা সরকারি খাতায় জমা দেওয়া হয় না। আবার মুরগীর কালীন রেটে বিক্রয় দেখায় কিন্তু বাস্তবে পরিপূর্ণ দামে বিক্রি করে। পুরো টাকাটা সে নিজে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে পুরো তথ্য ও ডকুমেন্ট সহ দুর্নীতি দমন কমিশন অফিস কুষ্টিয়া কার্যালয় অভিযোগ জমা দেয়া হয় এখন পর্যন্ত তার কোন প্রকার তদন্ত শুরু হয় নাই। এলাকাবাসীর দাবী এই পিডিও শাহিনা বেগমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন অফিস সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।