ট্রাফিক সপ্তাহে লাইসেন্সের মামলাই বেশি

0
1130

গড়াইনিউজ২৪.কম:: চলছে বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ। রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই সপ্তাহ চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। এ উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন ট্রাফিক পয়েন্টে জোর দেয়া হয়েছে ট্রাফিক আইনের প্রতি। ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। গাড়ির লাইসেন্স ও কাগজপত্র পরীক্ষাসহ অবৈধ পার্কিংয়ের দিকেও দৃষ্টি রাখছে ট্রাফিক পুলিশ। এতে কয়েক দিন ধরে রাজধানীতে যানবাহনের সংখ্যা কমে গেছে। ট্রাফিক আইন অমান্য করায় প্রতিদিনই কয়েক হাজার মামলা হচ্ছে। তবে ট্রাফিক পুলিশ জানায়, সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে লাইসেন্সসংক্রান্ত। ট্রাফিক সপ্তাহের তৃতীয় দিনে মঙ্গলবার তিন হাজার ৯০৯টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। আটক করা হয়েছে ৭৪টি মোটরসাইকেল। ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ৩৮৬টি, হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করার দায়ে ৪৭টি, হুটার ও বিকন লাইট ব্যবহার করার জন্য আটটি ও মাইক্রোবাসে কালো গ্লাস ব্যবহার করার জন্য ২৫টি এবং বিভিন্ন ধরনের স্টিকার ব্যবহার করার জন্য দুই গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় এক হাজার ৭৮টি, গাড়ির ফিটনেস না থাকার কারণে ২১২টি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে দুই হাজার ৩৪টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় ৩৮ ভিডিও এবং পাঁচটি সরাসরি মামলা দেয়া হয়েছে। ট্রাফিক সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে সোমবার  তিন হাজার ২৪০টি মামলা হয়। এ সময় ট্রাফিক অভিযানে ১৪২টি মোটরসাইকেল আটকসহ ৮৩৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও  রেকার করা হয়।ট্রাফিক সপ্তাহের প্রথম দিনে রবিবার সাত হাজার ৮১টি মামলা করা হয়। এ সময় ট্রাফিক অভিযানে ৫৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭০৮টি গাড়ি রেকার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ ট্রাফিক পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তিনজন সার্জেন্ট মামলা নিচ্ছেন। তারা জানান, দুপুর পর্যন্ত দুই শতাধিক মামলা নিয়েছেন। দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল জাকিয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মোটরসাইকেলের হেলমেট নেই, ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই এদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া অনেককে দেখা গেছে লাইসেন্সের মেয়াদ পার হয়ে গেছে। তাদেরকেও মামলা দেয়া হচ্ছে।’ আরেক ট্রাফিক কনস্টেবল জানান, মামলার দিকে এগিয়ে আছে মোটরসাইকেল । ব্যক্তিগত পরিবহনে চালকের লাইসেন্স পাওয়া গেলেও  মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে অনেকেরই লাইসেন্স পাওয়া যাচ্ছে না।  ‘লাইসেন্সের মামলাই বেশি। যাদের বেশি সমস্যা পাওয়া যাচ্ছে, আইন মেনে তাদের ডাম্পিংয়ে পাঠানো হচ্ছে। বাসের পরিমাণ কম, তাই বাসে মামলাও কম হচ্ছে। আমরা আমাদের মতো কাজ করে যাচ্ছি।’ অবৈধ পার্কিংয়ের জন্য জরিমানা করা হয়েছে অনেক পরিবহনকে।  তবে এই ধরনের মামলা যৌক্তিক বলে মনে করছেন জরিমানা গোনা গাড়ির মালিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, ‘যে নিয়ম করা হচ্ছে ভালো। নিয়ম আগেই ছিল, প্রয়োগ ছিল না। প্রয়োগ করাটা উচিত।’