টিকিটের জন্য উপচেপড়া ভিড় কমলাপুরে

0
2053

গড়াইনিউজ২৪.কম:: ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগাম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ভিড় জমিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। বুধবার সকালে রেলস্টেশনে গিয়ে রীতিমতো যুদ্ধ করতে দেখা গেছে টিকিটপ্রত্যাশীদের।সরেজমিনে দেখা গেছে, টিকিট পেতে গতকাল মধ্যরাত থেকেই কমলাপুরে জড়ো হয়েছে মানুষ। যে ২৬টি কাউন্টার থেকে টিকিট দেয়া হচ্ছে সেগুলোর প্রত্যেকটির সামনে ছিল মানুষের দীর্ঘ সারি। সকাল আটটায় কাউন্টারগুলো খোলার সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে ওঠেন সারিতে দাঁড়ানো লোকজন। টিকিট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক টিকিট-প্রত্যাশী মানুষকে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গেল। ১৭ আগস্টের টিকিট পেতে কমলাপুরে ভোর থেকেই দেখা গেছে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। স্টেশন ছাড়িয়ে মানুষের এই লাইন চলে গেছে স্টেশনের বাইরেরও। অন্যান্য বারের মতো ঈদের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহের জন্য আসা মানুষের ভিড়ের চিরচেনা রূপে ফিরেছে কমলাপুর রেলস্টেশন। কাউন্টারের সামনে শুধু টিকিটপ্রত্যাশী মানুষ আর মানুষ। বিগত বছরগুলির মতো এবারও দশ দিন আগে থেকে শুরু হয়েছে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি। ৯ আগস্ট বিক্রি হবে ১৮ আগস্টের টিকিট। এভাবে ১০, ১১ ও ১২ আগস্ট পর্যায়ক্রমে মিলবে ১৯, ২০ এবং ২১ আগস্টের টিকিট। এই দিনগুলোতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়।কমলাপুর টিকিট কাটার জন্য যে ২৬টি কাউন্টার খোলা হয়েছে তার মধ্যে দুটি নারীদের জন্য সংরক্ষিত। টিকিট কিনতে গতকাল রাত ১১টার দিকে লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আলমগীর হোসেন। ১৭ আগস্ট রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে যাওয়ার জন্য টিকিট কাটতে এসেছেন তিনি। ঢাকাটাইমসকে আলমগীর বলেন, রাত থেকেই টিকিট প্রত্যাশী মানুষের দীর্ঘলাইন। সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে কাউন্টারে ধীর গতি। আমার সিরিয়াল আসা পর্যন্ত এসি টিকিট পাব কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছি। লাইনের সামনের দিকে ছিলেন উত্তরবঙ্গগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট প্রত্যাশী আ. সালাম। তিনি বলেন, মূলত এসি টিকিটের জন্যই গতরাতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। তবে এখনই শুনছি এসি টিকিট শেষ। স্ত্রী-সন্তানসহ ঈদ করতে বাড়িতে যাব। শত ভোগান্তি উপেক্ষা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে যদি টিকিট না পাই তাহলে এত কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে কী লাভ? ট্রেনে অগ্রিম টিকিট বিক্রি বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ট্রেনর অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ রেলওয়ের নিজস্ব বাহিনী তৎপর রয়েছে। আমদের সম্পদ সীমিত। এই সীমিত সম্পদের মধ্যেই আমরা চেষ্টা করছি। সকাল থেকেই সবাই সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করছেন।কমলাপুর রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, এবারও মোট টিকিটের ৬৫ শতাংশ দেয়া হচ্ছে কাউন্টার থেকে। বাকি ৩৫ শতাংশের ২৫ শতাংশ অনলাইন ও মোবাইলে। ৫ শতাংশ ভিআইপি ছাড়াও রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে।