এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৪৯ নং এবি বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাশ করছে প্রতিনিয়ত। সংস্কার আর শ্রেণিকক্ষের অভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ দৈন্যদশায় পড়ে আছে ভবনটি। জানা যায় ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ৫ লাখ ৯ হাজার টাকা বিদ্যালয়টি নির্মিত হয়। নির্মাণের বছর ঘুরতে না ঘুরতে পলেস্তরা খসে খসে পড়তে শুরু করে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন মূহুর্তে ধসে পড়তে পারে। সামনের বারান্দার একটি পিলার পুরোটাই ভেঙ্গে গেছে। অপর পিলারগুলোরও অত্যান্ত নাজুক অবস্থা। পলেস্তরা পড়ে পড়ে সব জায়গার রড দেখা যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের টয়লেট অনেক আগেই ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে আছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১১৪ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে টয়লেটের জন্য ১৯ হাজার ৫ শ’ টাকা সরকারিভাবে বরাদ্ধ হয়। বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর ৪র্থ, ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে অফিস কক্ষ হওয়ার কারনে শিক্ষকদের সবসময় ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়।
প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবা খানম জানান, স্থানীয় কিছু লোকজন ও শিক্ষকদের অর্থে বিদ্যালয় মাঠে বাঁশের খুঁটি ও টিনের ছাপড়া দিয়ে দুটি ক্লাসরুম তৈরি করা হয়। সেখানে ১ম ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হয়। বৃষ্টির সময় পানির ঝাপটায় ক্লাস করা সম্ভব হয়না। তখন বাধ্য হয়ে ক্লাস ছুটি দিতে হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আনিছুর রহমান জানান, বিদ্যালয়টি আসলেই খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কারণে বিদ্যালয়টি নির্মাণে আলাদাভাবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সুপারিশ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।