জনকল্যাণে আসতে শুরু করেছে কুষ্টিয়া সরকারি মুরগি প্রজনন কেন্দ্র ও খামার!

0
339
কুষ্টিয়া সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার এর ব্যবস্থাপক ডাঃ মোঃ একরামুল হক। ছবি: গড়াইনিউজ

কুষ্টিয়া অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: নিরাপদ প্রাণি পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও জনসাধারণের কল্যাণে কুষ্টিয়া সরকারি মুরগি খামারটির ব্যবস্থাপক ডাঃ মোঃ একরামুল হক ২০শে ফেব্রæয়ারী ২০২২ইং তারিখে যোগদানের পর থেকেই উন্নয়ন ও জননগণের কাজে আসতে শুরু করেছে। ডাঃ মোঃ একরামুল হক যোগদানের পূর্বে খামারটির বেহাল দশা ছিলো। মুরগি পালনের ৮টি শেডের মধ্যে ৬টি পরিত্যক্ত ছিলো। ভবনগুলোও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলো। সংস্কার ছিলো না। আরো রয়েছে জনবল সংকট। ১৩ জন স্টাফ থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে ব্যবস্থাপক সহ ৫জন স্টাফ রয়েছে। আর এই ৫জন স্টাফ নিয়েই খামারের উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন ব্যবস্থাপক ডাঃ মোঃ একরামুল হক।

সরেজমিনে দেখা যায়, বছরের পর বছর পড়ে থেকে মরিচা ধরে কয়েক লাখ টাকা ব্যয়ে ক্রয়কৃত বাচ্চা ফোটানো মেশিনটি নষ্ট হয়ে অকেজ অবস্থায় আছে। কালেভাদ্রে দুই-এক বার বাইরে থেকে মুরগির বাচ্চা নিয়ে এসে খামারে পালন করা হয়ে থাকতো। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিলো এর কার্যক্রম। ফলে দেশের সর্ব দক্ষিণের জনপদ কুষ্টিয়ায় হতদরিদ্র মানুষের ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণ করতে পারছিলো না সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারটি। বছরের পর বছর সরকারের শুধু অর্থ অপচয় হচ্ছিলো।

জানা গেছে, দেশের সর্ব দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা কুষ্টিয়ায় নিরাপদ প্রাণিপুষ্টির চাহিদা পূরণ ও দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য ১৯৮২ সালে শহরের কানাবিল মোড় এলাকায় দুই একর জমির উপর গড়ে ওঠে কুষ্টিয়া সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার। এই খামারে এক সময় ছিলো বেহাল দশা। বাচ্চা উৎপাদনের হ্যাচারি ভবনটিও পরিত্যক্ত অবস্থায় তালাবদ্ধ ছিলো। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানো অত্যাধুনিক ইনকিউবেটরও বর্তমানে নষ্ট। সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামার এর ব্যবস্থাপক ডাঃ মোঃ একরামুল হক চার মাসের মাথায় সব কিছু পরিবর্তন করে ফেলেছেন। তিনি বলেন আমি সব কিছু উন্নয়ন করার চেষ্টা করছি। আগে ৮টি শেডের মধ্যে ৫টি শেডই নষ্ট হয়েছিলো আমি বর্তমানে সব গুলো কে খামারের প্রজনন কেন্দ্র করেছি। শুধুমাত্র বাচ্চা ফুটানো অত্যাধুনিক ইনকিউবেটর টা নষ্ট, এটাও সেরে পুরোদমে কাজ শুরু করবো। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে খামারের জন্য বরাদ্দ করা জনবল ৫ জন। এর মধ্যে পোল্ট্রি এটেনডেন্ট দুই জন, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী এক জন ও গার্ড এক জন। ৮টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। তাই খামারের উন্নয়ন কার্যক্রম করতে একটু চাপ নিতে হচ্ছে।
তিনি আরোও বলেন, আমি যোগদান করার পরে দেখলাম, খামারটির বেহাল দশা। কার্যক্রম না থাকায় হ্যাচারি ভবনটি একটি পরিত্যক্ত গোডাউনে পরিণত হয়েছে। প্যারেন্টস মুরগী না থাকায় এখানে ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না। চলতি অর্থবছরে ২০ হাজার মুরগী উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এখন পর্যন্ত বাচ্চা মুরগী দশ হাজার আছে, ৫৭৬ টি লেয়ার মুরগী ও ৭৮ টি মোরগ রয়েছে। ফাউমি ও সোনালী জাতের মুরগী উৎপাদন করে তা খামারিদের মধ্যে বিক্রি করা হয়েছে। লোকবল ও অর্থ বরাদ্দ পেলে যথাযথভাবে কাজ করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।