কুষ্টিয়া কুঠিপাড়ায় মাদক সম্রাট জহির ও রাজীবের রমরমা মাদক ব্যবসা!

0
517
পুলিশ ও বিজিবি লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে কিছু মাদকসেবীদের আটক করলেও মূল মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করছে না।ফাইল ছবি।

কুষ্টিয়া অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: কুষ্টিয়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে এখনও সক্রিয় রয়েছে অনেক মাদক ব্যবসায়ী। নির্বিঘেœ অবাধে বিক্রি করে চলেছে বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য। মনে হচ্ছে এদের বিরুদ্ধে বলার যেমন কেউ নেই, দেখার জন্যেও যেন কেউ নেই। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে কিছু মাদকসেবীদের আটক করলেও মূল মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করছে না। সম্প্রতি পুলিশ ও র‌্যাব এর মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হলেও মাদক সম্রাট জহির ও তার স্ত্রী রোজিনার ইয়াবা ও গাজার ব্যবসা থেমে নেই। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এসব মাদক ব্যবসায়ীদের আটকের ব্যাপারে সহযোগিতা করলেও পুলিশ তাদের ধরছে না। এমনটি অভিযোগ এলাকাবাসী, অভিভাবক ও সচেতন মহলের। অনুসন্ধানে জানা যায়, জহির ও তার স্ত্রী রোজিনা এবং রাজীব ও তার স্ত্রী কাজলী তাদের গ্যাং দিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন। কিছুদিন আগে কুষ্টিয়া ডিবির হাতে ধরা পরলেও জেল থেকে বেরিয়ে এসে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা।
এই মাদক ব্যবসায়ীরা ৫০০/১০০০ টাকার গাজার পুরিয়া ছাড়া বিক্রি করে না। এবং ইয়াবা ১০ পিছের কম বিক্রি করে না। আগে টাকা দিতে হবে পরে মাল পাবে বলে কিছু ক্রেতারা জানান। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এরা অনেক চালাক, এরা অনেক সুকৌশল অবলম্বন করে সকাল থেকে অল্প পরিসরে বিক্রি শুরু করলেও সন্ধ্যার পর থেকে পুরোদমে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের এই অবৈধ মাদকের রমরমা ব্যবসা। স্থানীয় সূত্রমতে জানা যায়, মাদক স¤্রাট জহির ও জহিরের স্ত্রী রোজিনা আমলাপাড়া বড় মসজিদের পাশে নদীর ধারে বাড়িতে থেকে ব্যবসা পরিচালনা করে এবং রাজীব ও কাজলী কুঠিপাড়া বড় ড্রেনের পিছনে তাদের বাড়ি থেকে মাদকের ব্যবসা করে আসছে। কুঠিপাড়া ও আমলাপাড়ায় পূর্বে মাদক ব্যবসার যে চেহারা ছিল, সে চেহারাই রয়ে গেছে। যার কারণে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়াচ্ছে, ধাবিত হচ্ছে অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর দিকে। উঠতি বয়সের স্কুল কলেজের ছাত্ররা নেশাগ্রস্ত হয়ে পরছে এই মাদকের ভয়াল থাবায়। শুধু তাই নয়, স্কুল কলেজে পড়–য়া এ সকল ছাত্ররা এই মাদকের টাকা ম্যানেজ করতে গিয়ে বিভিন্ন রকম অপরাধ মূলক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। আর এই কারনে বেশিরভাগ যুব সমাজ ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। তাই এই মাদক ব্যবসায়ী জহির, রোজিনা, রাজীব ও কাজলীকে আলীকে আটক করে এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্ত থেকে রক্ষা করে মাদকমুক্ত কুঠিপাড়া ও আমলাপাড়া করার জন্য পুলিশ সুপার ও র‌্যাব-১২ এর দৃষ্টি আকর্ষন করেছে এলাকার সচেতন মহল।