ঈশ্বরদীতে যুবলীগের দ্বন্দ্বে গুলি আলম নিহত

0
1154

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা ॥ ঈশ্বরদীতে সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক পেক্ষাপটে যুবলীগের দুই গ্র“পের গ্র“পিং ও প্রকাশ্য দ্বন্দ্বের প্রথম বলি হলেন, ঈশ্বরদী পৌরযুবলীগের সদস্য আরিফুল ইসলাম ওরফে গুলি আলম। রোববার রাত দশটার দিকে ঢাকা পুঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।  দলীয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, যুবলীগের দুই গ্র“পের দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে গত ১২ আগষ্ট শহরের আলহাজ্ব মোড়ে আলমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে তার প্রতিপক্ষ গ্র“পের কয়েকজন। এঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন আলমকে প্রথমে যুবলীগের আব্দুল্লাহ, রনিসহ বেশ কয়েকজন উপুর্যপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে, পরে মূমুর্ষ অবস্থায় আলমকে ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহী নেওয়ার পথে ফের তাকে কুপিয়ে আহত করে আরও বেশ কয়েকজন যুবলীগ কর্মীরা।  গত রোববার রাতে তার মৃত্যুর পর ঈশ্বরদী থানায়, একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে আলমের স্ত্রী রুমা খাতুন। এদিকে আলম হত্যা কান্ডের এ ঘটনায় ঈশ্বরদীতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়েছে আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। সূত্র জানায়, ইতিপূর্বে উপজেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সভাপতি যুবায়ের বিশ্বাস গ্র“পের সাথে রাজিব সরকার গ্র“পের প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ও বিভেদ ছিল, সে সময় রাজিব সরকারকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় আরিফুল ইসলাম গুলি আলমের প্রকাশ্য ভূমিকা ছিল বলেও জানায় দলীয় একাধিক সূত্র।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই তালুকদার জানান, এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ, রনি, অমিত, বাপ্পি, রাব্বি, কালু, রাফি, মাসুদ, ও ওয়াসিমসহ ১২ জনকে আসামী করে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন আলমের স্ত্রী রুমা খাতুন। গতকাল মঙ্গলবার ভোর রাতে ঢাকা থেকে আলমের লাশ ঈশ্বরদীতে নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার সকালে মধ্য অরণকোলা ঈদগাহ মাঠে জানাযা শেষে মধ্য অরণকোলা গোরস্থানে আলমের দাফন করা হয়।