কুষ্টিয়ায় সরকারী রাস্তা নির্মানে জামাতের আমীর খাইরুলের বাধাঁর মুখে চাঁপড়া ইউনিয়নবাসী!

0
2014

কুষ্টিয়া অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের মাদুলিয়া ব্রীজ সংযোগ সড়ক থেকে শানপুকুরিয়া পর্যন্ত এলজিইডি কর্তৃক ৮ফিট চওড়া এবং ২ কি:মি লম্বা পাকা রাস্তা নির্মানকাজ চলছে এলাকার উন্নয়ন এবং এলাকাবাসীর ভোগান্তি রক্ষার্থে। কিন্তু এই পাকা রাস্তা নির্মান নিয়ে এলাকার মধ্যে প্রচুর বিশৃঙ্খলা পরিবেশ তৈরী হচ্ছে বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন। এলাকাবাসীর সূত্র মতে জানা যায়, মাদুলিয়া ব্রীজ সংযোগ সড়ক থেকে শানপুকুরিয়া পর্যন্ত ৫০- ৬০ গজ রাস্তার কাজে পিকেট ফেলে রুলার করার পরে মৃত.ইনতাজ আলীর পুত্র চাপড়া ইউনিয়নের জামাতের আমীর খাইরুল ইসলাম কাজের বাধার সৃষ্টি করে, তিনি তার অবৈধ টাকা দিয়ে সন্ত্রাসী ভাড়াকরে রাস্তার মাঝে গাছের গুড়ি দিয়ে বেড়া দেয় এবং আদালতে ক্ষমতার জোড়ে মামলাও করেছেন বলে জানা যায়। এলাকাবাসীরা আরো অভিযোগ করে বলেন পর পর তিন বার নির্বাচিত ইউপি মেম্বার মোতাহার হোসেন এই বেড়া দিতে বাধা দেওয়ায় তাকে প্রান নাশের হুমকী প্রদান করেন। সূত্রে আরো জানা যায়, প্রায় ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে স্থানীয় জনগনের উপর ঢাল, সরকী ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করতে আসে। এমতাবস্থায় কোন উপায় না পেয়ে মো: মোতাহার হোসেন বাদী হয়ে কুমারখালী মডেল থানায় অভিযোগ দ্বায়ের করেন। মাদুলিয়া ব্রীজ সংযোগ সড়ক থেকে শানপুকুরিয়া পর্যন্ত রাস্তার কাজে বাধা দেন শুধু খাইরুল ইসলাম নয় এর সাথে তার ভাড়া করা সন্ত্রাসীসহ নরুল ইসলাম(৪৫)তারিকুল ইসলাম, আকামুদ্দি(আকালে), রবিউল ইসলাম, আনজেদ আলী, আক্তার হোসেন, মাতালেব, জিয়াউর রহমান জিয়া , আমোদ আলী, সবুর আলী সহ আরো অনেকে সরকারী এই রাস্তার কাজে বাধা দেয়। এ বিষয়ে স্থানীয় চাঁপড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির হাসান রিন্টুকে জানানো হলে তিনি সরেজমীনে উপস্থীত হয়ে তিনি রাস্তার মাঝ থেকে বেড়া সরাতে বলেন খাইরুল ইসলামের পক্ষের ও বাড়ীর লোক জনকে, কিন্তু তারা চেয়ারম্যানের কথা না শুনে চেয়ারম্যানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন ও বেড়া তুলতে অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে বাধবাজার ফাড়ীর আই,সি আনোয়ার হোসেন বেড়া উঠানোর জন্য সরেজমীনে গেলে তার সাথেও খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীরা বলেন, ৫০-৫৫ বছর যাবৎ আর,এস রের্কোড অনুযায়ী এটা রাস্তা হিসাবে স্থানীয় এলাকাবাসীরা ব্যবহার করে আসছেন বলে জানান। সরকারী রাস্তা নির্মানে জামাতের আমীর খাইরুলের বাধাঁর মুখে চাঁপড়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ, যেন দেখার কেউ নেই। চাঁপড়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত এবং হয়রানীর হাত থেকে বাঁচাতে উর্ধত্বন কর্তপক্ষের সুদৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয় সংশ্লিষ্টরা।