মহেশপুর সীমান্তে আন্ডার গ্রাউন্ড ঘরের মালিক মুকুল মিয়া ভারতে পালিয়েছে

0
2035

আজাদ বিশ্বাস, মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা, গড়াইনিউজ২৪.কম:: আগে যার কিছুই ছিলোনা। হঠাৎ করে রাতারাতি কোটি প্রতি বনে যায় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভারত সীমান্তের লেবুতলা গ্রামের মুকুল হোসেন। এখন তাকে এলাকার সবাই মুকুল মিয়া বলেই চেনে। গত কয়েক বছর ধরে মুকুল মিয়া ভারতের কয়েক জন চোরাকারবারীদের সাথে সখত্যা গড়ে তোলে। এর পর থেকে মুকুল মিয়া অস্ত্র, হিরোইন, ফেনসিডিল আর ভারতীয় মদের ব্যবসা শুরু করে।
এ সব ব্যবসায় ভাগ্য খুলে যায় হঠাৎ করে রাতারাতি কোটিপতি হওয়া লেবুতলা গ্রামের মুকুল মিয়ার। এভাবেই কথা গুলো সংবাদ কর্মীদের কাছে বললেন লেবুতলা গ্রামের রমজান আলী ও আব্দুর রহমান।
তারা আরও জানান, গত শনিবার দুপুরে জলুলী বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা যখন মুকুলের বাড়ীর মধ্যে আন্ডার গ্রাউন্ড ঘরের সন্ধান পান তখনই আমরা সবাই আতকে উঠি। মাত্র দু’এক বছরের ব্যবধানে ভারতের চোরাকারবারীদের সাথে অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে কোটিপতি বনে যাওয়ার কারণেই সে আজ নিজের বাড়ীর মধ্যেই আন্ডারগ্রাউন্ড গড়তে সাহস পেয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, আগে যার কিছুই ছিল না বেকার অবস্থায় ঘুরে বেরাতো। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে সে আজ কোটিপতি। কোটিপতি হওয়ার কারণেই সে আন্ডারগ্রাউন্ড ঘরের মধ্যে বিভিন্ন মাদক দ্রব্যের ব্যবসা শুরু করেছে।
গত শনিবার দুপুরে জলুলী ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার নুরুল আমিনের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা যখন আন্ডারগ্রাউন্ডের ঘরের সন্ধানে লেবুতলা গ্রামের লুৎফর রহমানে ছেলে মুকুলের বাড়ীতে হানা দেয় তখন সে আটকের ভয়ে ভারতের সীমান্তবর্তী কাশিপুর গ্রামে পালিয়ে যায়।
গ্রামবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাতের অন্ধকারে অপরিচিত লোকজনের আনাগুনা হয়ে আসছিল মুকুলের বাড়ীতে। এমনকি গভীর রাতে মাইক্রো আর প্রাইভেট কারও আসতো তার বাড়ীতে।
জলুলী ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার নুরুল আমিন জানান, অনেক অপকর্মের হোতা মুকুলের বাড়ীর আন্ডার গ্রাউন্ডের ঘরের মধ্যে থেকে যখন আমরা ভারতীয় মদ ও ফেনসিডিলের খালি বোতল,ইয়াবার প্যাকেট ও হিরোইন সেবনের বেশ কিছু জিনিসপত্র উদ্ধারের কাজ করছি তখন সোর্স মারমত জানতে পারি আমরা তার বাড়ীতে পৌছানোর কিছুক্ষণ আগেই সে পালিয়ে গেছে। তবে মুকুল কোথায় আছে তা এখনও জানতে পারেনি। তবে তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দেওয়া হয়নি। তবে মুকুলের নামে থানায় বিভিন্ন মামলার ৫/৬টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। সে একজন ওয়ান্টের ভুক্ত আসামী। তিনি আরও জানান, পুলিশও তাকে খুঁজছে।