কুষ্টিয়া পাসর্পোট অফিসের এডির ব্যাক্তিগত দক্ষ দুইজন কর্মচারী দিয়ে চলে ফর্ম বানিজ্য!

0
3271

কুষ্টিয়া অফিস ॥ কুষ্টিয়া চৌড়হাসে অবস্থিত কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, যেখানে কুষ্টিয়া জেলার দূর দূরান্ত থেকে আসে সবাই পাসপোর্ট করতে। আর পাসপোর্ট করতে গেলে যেন ভোগান্তির শেষ নেই। সকাল হলেই কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিসে দালালের চাপে যেন মহামারী আকার ধারন করে। পাসপোর্ট অফিসে অফিস কর্মকর্তা- কর্মচারীর চেয়ে দালালের সংখ্যাই বেশী। দীর্ঘ কয়েক মাস দালালের সংখ্যা কম থাকলেও এডি শাজাহান অফিসে যোগদান করতে না করতেই দালালের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে, যেন দেখার কেউ নেই! জানা যায়, শাজাহান কবীর ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে যোগদানের পর দূর্নীতির দায়ে সুযোগ্য জেলা প্রশাষকের হস্তক্ষেপে মাত্র চার মাসের মাথায় স্ট্যান্ড রিলিজ নিয়ে বান্দরবনে বদলি হয়। কিন্তু তিনি অনেক চেষ্টা করে আবার কুষ্টিয়াই বদলি নিয়ে এসে কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিসে যোগদান করেন এবং যোগদানের পরপরই শুরু হয় আনঅফিসিয়ালভাবে ফর্ম জমা নেওয়ার নিজস্ব চ্যানেল । এবারে একটু ভিন্ন ভাবে পাসপোর্ট ফর্ম জমা হয় লাইনেই, কিন্তু মাত্র ১ ঘন্টার জন্য।কারন এডি শাজাহান অফিসে আসেন সকাল ১০টা। ১০টার সময় অফিসে এসে তার অফিস থেকে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামেন সকাল ১১ টায়, সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় তার বক্তব্য এবং বক্তব্য চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, ১২টার পরে শুরু হয় ফর্ম জমা নেওয়া। ফর্ম জমা নেওয়া চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ফর্ম জমা নেওয়ার কথা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত থাকলেও এডি শাজাহান প্রতিদিন চুয়াডাঙ্গা থেকে কুষ্টিয়াতে এসে অফিস করেন। তাই তিনি যথাসময়ে অফিসে উপস্থিত হতে পারেন না বিধায় ফর্ম জমা নেওয়া হয় মাত্র ১ ঘন্টার জন্য, দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সকাল ৮ টার সময় লাইনে দাড়িয়ে ফর্ম জমা দিতে পারে না অনেকেই কারন এডি শাজাহান সময়মত অফিসে না আসার জন্য। কিন্তু আনঅফিসিয়ালভাবে গোপনে টাকা আদায়ের জন্য দুইজন দক্ষ কর্মচরী নিয়োগ দিয়েছে এডি শাজাহান। তার একজন অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম অপরজন হিসাব রক্ষক প্রণব কুমার। এই দুইজনের মাধ্যমে বিভিন্ন দালালের কাছে থেকে টাকা আদায় করা হয়। তারপর আর লাইনে ফর্ম জমা হবে না। কিন্তু সেই একই ফর্ম ঠিকই জমা হবে এডি শাজাহানের তৈরি করা নিজস্ব চ্যানেলে । এটাই হল এডি শাজাহানের আনঅফিসিয়াল ফর্ম জমা নেবার নিয়ম। কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিসের এডি সেই নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে এডি শাজাহানের নিজস্ব মনগড়া নিয়মে চলছে পাসপোর্ট জমা নেওয়া। আবার অনেকের অভিযোগ এডি শাজাহানের অফিসের চ্যানেলের মাধ্যমে পাসপোর্ট করতে দিলে সময় মত পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়। এছাড়াও কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিসের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ পাওয়া যায় সেটা হল পুলিশ তদন্ত হলেও সেই রিপোর্ট অফিসে পরে থাকে যা সময়মত ঢাকাতে প্রেরণ করা হয় না। অফিসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নাই এ সকল কাজ এডি স্যার নিজেই করে থাকে। তাই দূর্নীতিবাজ এডি শাজাহানের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সুযোগ্য জেলা প্রশাষকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।