নারায়ণগঞ্জে বিএনপি জোটের তিন প্রার্থী

0
1129
বিএনপির সাখাওয়াত, এলডিপির কামাল প্রধান ও কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস

গড়াইনিউজ২৪.কম:: এককভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও নারায়ণগঞ্জে শেষ পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী সংখ্যা তিনজন। শেষ দিনেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় জোটের শরিক এলডিপি ও কল্যাণ পার্টির প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়ে গেছে। প্রার্থীরা বলছেন কেন্দ্র থেকে তাদের প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তবে কেন্দ্র বলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনসহ চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে ২০ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে জোটবদ্ধভাবে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জোটের সব শরিক দল বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের পক্ষে কাজ করতে একমত পোষণ করেন।

জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা ২০ দলের শরিক দল এলডিপি তাদের প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির আহ্বায় কামাল প্রধানকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। কিন্তু রবিবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনেও নির্বাচন থেকে সরে না আসায় তাকে দল থেকে বহিঙ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের পরও মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কামাল প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে কল্যাণ পার্টির প্রার্থী রাশেদ ফেরদৌসও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তবে দলটির কেন্দ্রীয় মহাসচিব আমিনুর রহমান জানিয়েছেন, শিগগির সংবাদ সম্মেলন করে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেবেন। এদিকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলও জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার জাসদের প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন নারায়ণগঞ্জে ১৪ দলের একক প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল সোমবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এরপর থেকেই আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হবে। এই নির্বাচনে মেয়র পদে একাধিক প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের আইভী ও বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন খানের মধ্যে। দুই দলই এই নির্বাচনকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে বেছে নিয়েছে। ঢাকার পাশের এই জনপদটি সিটি করপোরেশন ঘোষণার পর ২০১১ সালের অক্টোবরে প্রথম নির্বাচনে অবলীলায় জিতেছিলেন আইভী। তখন অবশ্য দলীয় প্রতীকে ভোট হয়নি। আর তখন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার ভোটের পাঁচ ঘণ্টা আগে কেন্দ্রের নির্দেশে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান। ওই নির্বাচনে আইভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগেরই আরেক নেতা শামীম ওসমান। তবে তিনি এক লাখ দুই হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। এবারের নির্বাচনে শামীম ওসমান প্রার্থী না হলেও আইভীর জন্য শামীম ফ্যাক্টর ভোটের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ বলেই ধারণা করা হচ্ছে।