গড়াইনিউজ২৪: রাজশাহীতে নতুন কৌশলে বাসা-বাড়িতে জমজমাট দেহ ব্যবসা। নির্ভর যোগ্য সূত্রের দাবি, রাজশাহী মহানগরীর প্রায় ১২টি আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি ভিআইপি খদ্দেরকে নিরাপত্তা দিতে নেওয়া হচ্ছে বাসা বাড়িতে। তবে টাকা বেশি লাগলেও ক্রমেই সাধারণ খদ্দেররাও বাসা বাড়ির দিকেই ঝুকছে। যার একটি মাত্রই কারণ সামাজিক ও প্রশাসনিক নিরাপত্তা। আর আবাসিক হোটেলের চেয়ে বাসা-বাড়িতে ব্যবসাটি লাভজনক বলেও দাবি ওই সূত্রের।
বাসা-বাড়ির দেহ ব্যবসায় ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সিদের ব্যবহার করা হয়। এরা বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী বলে খদ্দেরের কাছে ডিমান্ড তৈরি করা হলেও এ সংখ্যার হার খুবই কম। প্রকৃতপক্ষে কলোনী বা বস্তির নিম্ন শ্রেনীর অশিক্ষিত মেয়েদের উন্নত সোসাইটির পোশাক পরিয়ে খদ্দেরের সাথে প্রতারণা করাচ্ছে। আর নিম্ন শ্রেণীর হওয়ায় সুযোগ বুঝে ধনীদের ব্লাক মিলের ঘটনাও ঘটছে খবরের অন্তরায়। বর্তমান প্রশাসন জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূলে ব্যস্ততাকে এ চক্রটি কাজে লাগাচ্ছে। তবে এদের ইন্ধনে আরএমপি’র কিছু অসাধু কর্মকর্তারা রয়েছে এ দাবি চক্রটির।
কৌশলে কলেজ পড়–য়ার পতিতার কাছ থেকে জানা যায়, প্রশাসনের কোন এক পর্যায়ের ব্যক্তিরা জড়িত তাদের সাথে। যা প্রকাশ করলে গুটি কয়েক অসাধু অফিসারের কারণে পুলিশ প্রশাসনকেই কলুশিত করা হবে। তাকে গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন মাত্র ৬/৭ মাস ওই অফিসারেরও স্যারদের খুশি করালেই আলাদা বাসায় রেখে তার ভোরণ পোষন দেওয়া হবে।
সে আরো জানাযায়, আরএমপি ম্যানেজ থাকায় বোয়ালিয়া ও রাজপাড়া থানাধীন অঘোশিত পতিতা পল্লীতে (আবাসিক হোটেল) মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়না। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আরএমপি’র মুখপাত্র ও রাজপাড়া জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ইফতেখায়ের আলম মুঠোফনে জানান, পুলিশ জীবন বাঁজি রেখে জংঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূলে যে ভুমিকা রাখছে তা সকল মহলেই প্রসংশা কুড়িয়েছে। কিন্তু গুটি কয়েক সদস্যের কারণে আমরা সত্যিই বিব্রত। যাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকেরই বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এদের বিরুদ্ধে বর্তমান কমিশনার স্যার খুবই এ্যালাট। তিনি অসাধুদের ধরে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নিবেন।