আবু রায়হান (বর্ষন)শরীয়তপুর থেকে, গড়াইনিউজ২৪.কম:: শরীয়তপুরে ২০১৫ সালের প্রাথমিক পর্যায়ের ৪ হাজার কিলোগ্রাম (কেজি) নতুন বই বিক্রি করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। বইগুলো জেলা ও উপজেলা পাঠ্য পুস্তক সংরক্ষণাগারে পড়ে ছিল। চলতি মাসেই কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বইগুলো জেলার কাগজ বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হয়। সেখানেই শেষ হলেতো নিয়ম মেনেই চলা হলো। মূল কথা হলো এই বইগুলো অবশিষ্ট থাকলো কি করে। সেখানেই ? প্রতি বছর জেলার সরকারী, বে-সরকারী ও কিন্ডার গার্টেন তালিকা করা হয়। সেই সাথে গননা করা হয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও। সেই মোতাবেক চাহিদাপত্র পাঠানো হয় মন্ত্রনালয়ে। তাহলে এতো বই অবশিষ্ট থাকলে কেন? সেখানেই শেষ না। জেলার প্রায় সহ¯্রাধিক বিদ্যালয়ে রয়েছে অতিরিক্ত বই যা সরকারী ভাবে বিক্রির আওতায় আসেনি। সকল বই বিক্রির আওতায় এলে হয়তো ১০ হাজার কেজি ছাড়িয়ে যেতো। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার গাফেলতিতেই এ সমস্যা হয়েছে। ১০ হাজার কেজি বই প্রিন্ট করতে হয়তো কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায় হয়েছে সরকারের। শুধু শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তার অবহেলার কারনেই এ ক্ষতি সাধন হয়েছে। এ বিষয়ে সুধিজনদের সাথে আলাপ করে জানায়, সরকারের টাকা হলো জনগনের উপার্জন। সে টাকায় শিক্ষকদের বেতন হয়। তারাতো আর উপার্জনের কষ্ট কত কঠিন তা জানেনা। তারা সরকারের টাকা অপচয় করবে সেখানে কষ্ট হবে কেন। শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তা দায়িত্ববান হলে এত অপচয় হতো না। দায়িত্বরতদের আরও একটু দায়িত্ববান হতে হবে। কেজিদরে বই ক্রেতা কাগজ ব্যবসায়ী আসলাম গড়াইনিউজ২৪ কে জানায়, প্রতি বছরই অতিরিক্ত বই আনা হয়। যদি কোন দূর্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয় তখন বই পাবে কই। এ বছর অতিরিক্ত দামে বই কিনেছি। ২২ টাকা কেজি দরে ৪ হাজার কেজিতে ৮৮ হাজার টাকা দিয়েছি। দাম কম তাই বই এখনও বিক্রি করিনি। শরীয়তপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ গড়াইনিউজ২৪ শরীয়তপুর প্রতিনিধি আবু রায়হান (বর্ষন) আলাপকালে বলেন, ২০১৫ সালের কিছু বই পাঠ্য পুস্তক সংরক্ষনাগারে পরে ছিল। সরকারী নির্দেশে বই গুলো প্রকাশ্যে টেন্ডার দিয়ে বিক্রি করেছি। ৪ হাজার কেজি বই ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বিক্রিত টাকা চালানের মাধ্যমে ট্রেজারীতে জমা হয়েছে। আমাদের চাহিদাপত্র সঠিক ভাবে দিতে পারিনা কারণ প্রতিবছর কত জন নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হবে তাতো পূর্বে জানা থাকে না। প্রতি বছর শিশু শ্রেনীতে শিক্ষার্থী আসে আর অনেক শিক্ষার্থী ঝরে যায় তাহলে বইয়ের অতিরিক্ত চাহিদা দিতে হয় কেন? এর কোন জবাব ছিলা না শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে।
Kushtia
clear sky
24.2
°
C
24.2
°
24.2
°
77%
2.7kmh
5%
শুক্র
33
°
শনি
37
°
রবি
38
°
সোম
42
°
মঙ্গল
41
°