কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ও পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

0
830

কুষ্টিয়া অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: গত সোমবার (১৭ অক্টোবর ২০২২) অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২২’র ফলাফলকে অবৈধ,বেআইনি ও পক্ষপাতমূলক অভিযোগ করে উক্ত ফলাফল বাতিল ও পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন কুষ্টিয়া সদর (০৪ নং ওয়ার্ড) আসনের সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী মামুন অর রশিদ।তিনি ঢোল প্রতীক নিয়ে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর ২০২২) সন্ধ্যা ৬:৩০ টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের আব্দুর রাজ্জাক মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন,আমি মোঃ মামুন-অর-রশিদ, পিতা- মোঃ আলী হোসেন, সাং- দরবেশপুর, থানা ও জেলা- কুষ্টিয়া। কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন- ২০২২ এ সদর উপজেলার ৪ নং ওয়ার্ডের সাধারন সদস্য প্রার্থী। আমি নিজে এবং জনাব জহুরুল ইসলাম সহ আরো ৬ জন সহ মোট ৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। অদ্য ১৭/১০/২০১২ ইং তারিখে সকাল ৯.০০ টা হইতে দুপুর ২.০০ ঘটিকায় আমার মানোনীত দুই জন এজেন্ট যথাক্রমে মোঃ রেজাউল করিম ও মোঃ মাহমুদুল হাসান দ্বয়ের উপস্থিতিতে দুইটি নির্বাচনী বুথে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। আমার ওয়ার্ডে আমার বিপুল জনপ্রিয়তা থাকায় শতকরা ৭০ ভাগের বেশি ভোটার আমার অনুকূলে নিশ্চিতভাবে ভোট দেয়। কিন্তু ভোট গ্রহণ শেষে জনাব জহুরুল ইসলাম ও তাহার লোকজন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ইভিএম মেশিনে প্রোগ্রামিংয়ে এবং নির্বাচন গ্রহণ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশে আমার নির্বাচনী প্রতীক (ঢোল) এর স্থলে জনাব জহুরুল ইসলামের নির্বাচনী প্রতীক (তালা) এর রুপান্তর বা পরিবর্তন দেখানোর চেষ্টাকালে আমার বর্ণিত এজেন্টগণ বাধা দেয়। আমার এজেন্টগণ এবং আমি প্রিজাংডিং অফিসার সুখেন কুমার পাল ও কুষ্টিয়ার সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার শহিদুর রহমান এর নিকট মৌখিকভাবে আপত্তি উত্থাপন করলে তারা তা কর্ণপাত করেন নাই। একপর্যায়ে জহুরুল ও তার দলীয় লোকজন আপনার অধস্তন কর্মকর্তা ও দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় আমার এজেন্টগণকে জোর পূর্বক বুথ হতে বের করে দেন। নিয়ম অনুযায়ী ইভিএম মেশিনে প্রিন্টটেড রেজাল্ট শীট না দিয়ে। প্রিজাইডিং অফিসার ও সদর উপজেলার নির্বাচন অফিসার পাশের রুমে নিয়ে ছিড়ে ফেলেন। তড়িঘড়ি করে তারা হাতে লেখা রেজাল্ট শীট পকেট থেকে বের করে বিনা ঘোষনায় উক্ত রেজাল্ট শীট দিয়ে তারা প্রশাসনের সহযোগীতা নিয়ে দ্রুত কেন্দ্র ত্যাগ করেন। প্রকৃতপক্ষে তারা সঠিকভাবে গণনা ও সঠিক ফলাফল দেন নাই। ইভিএম মেশিনে প্রিজাইডিং অফিসার ও তার অধস্তন কর্মকর্তারা জনাব জহুরুল ইসলাম এর দ্বারা প্রভাবিত হইয়া অন্যায় ও অবৈধভাবে উক্ত ভোটের ফলাফল ম্যানুপুলেট করতঃ জহুরুল ইসলামকে বিজায় দেখানোর প্রয়াস নিয়েছেন। যাহা অবৈধ, বেআইনী এবং পক্ষপাত মূলক। ইভিএম বিশেষজ্ঞ দ্বারা আমার ৪ নং ওয়ার্ডের প্রোগ্রামিং এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি পর্যবেক্ষণ তৎসহ ফুটেজ যাচাই বাছাই করিয়া জনাব জহুরুল ইসলামকে বিজয় দেখানো ফলাফল বাতিল পূর্বক পুনরায় ভোট গ্রহণ একান্ত আবশ্যক। উক্ত বিষয় নিয়ে আমি তাৎক্ষনিকভাবে জেলা রিটার্নিং অফিসার, জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও উপজেলা প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। উল্লেখ্য, তিনি কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২২’র প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বরাবর আবেদিত দরখাস্তের অনুলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনার,কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২২,জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, কুষ্টিয়া ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কুষ্টিয়া সদর বরাবর প্রেরণ করেছেন।