গড়াইনিউজ২৪.কম:: জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে তাকে কবর দেয়ার প্রয়োজনীয় প্রস্ততি নিয়ে রেখেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। শুক্রবার রাতে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জাকির হাসান বলেন, মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের পর হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে তার কবর হবে এই ধরনের কোনো নির্দেশনা উপর থেকে আমরা এখনো পাইনি। তবে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে এখানে কবর দেয়ার সবধরনের প্রস্ততি নিয়ে রেখেছি। হরিরামপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ বলেন, জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর দেশের বাড়ি চালা গ্রামে হরিরামপুর থানা পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোক অবস্থান করছেন। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর তার কবর এই চালা গ্রামে হতে পারে। তিনি বলেন, কুখ্যাত এই যুদ্ধাপরাধীর কবর হরিরামপুরে ঠেকাতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ তিন শতাধিক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক চালা বাজারে অবস্থান নিয়েছেন। মীর কাসেম আলীর গ্রামের বাড়ি হরিরামপুর উপজেলার সুতালড়ি ইউনিয়নে। পদ্মা নদীতে তার মুলবাড়ি ভেঙে যাওয়ার পর হরিরামপুর উপজেলার চালা এলাকায় তিনি জমি কিনে বিশাল একটি কলাবাগান করেছেন। তবে তার গ্রামের বাড়ি চালা এলাকায় পরিবারের কোনো সদস্য থাকেন না। গত বুধবার মানবতাবিরোধী অপরাধে মীর কাসেম আলীর ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্টের আপিল বিভাগ। এর পরদিন পরিবারের ৯ সদস্য কাশিমপুর কারাগারে গিয়ে কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করে আসেন। ফাঁসির রায় বহাল থাকায় রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার পথ খোলা ছিল মীর কাসেম আলীর সামনে। তবে শুক্রবার তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন না বলে জানিয়েছেন। ফলে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে এখন আর কোনো বাধা নেই। সরকারের নির্দেশনা পেলে যেকোনো তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে কারাকর্তৃপক্ষ।
Kushtia
clear sky
13.4
°
C
13.4
°
13.4
°
38%
2.9kmh
0%
Fri
26
°
Sat
26
°
Sun
25
°
Mon
25
°
Tue
25
°