ভোগান্তি ছাড়াই দৌলতদিয়া ঘাট পার!

0
284

ঢাকা অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: কোরবানির বাকি এখনো প্রায় এক সপ্তাহ। এরই মধ্যে পশুবাহী ট্রাকের চাপ বাড়তে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে। তবে পশুবাহী ট্রাকের চাপ বাড়লেও দীর্ঘ অপেক্ষা ও ভোগান্তি ছাড়াই সরাসরি ফেরির নাগাল পাচ্ছে যানবাহনগুলো। এতে খুশি গরুর মালিক, ব্যাপারিসহ গাড়ির চালকরা। রোববার (৩ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে এমন চিত্র দেখা যায়। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এই ঘাট ব্যবহার করে নদী পারাপার হয়েছে ২ হাজার ৮৪৯টি যানবাহন। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস ৪০৮টি, পণ্যবাহী ট্রাক এক হাজার একটি, ছোটগাড়ি এক হাজার ২১৩টি ও ২২৭টি মোটরসাইকেল। বর্তমানে এই রুটে ছোট-বড় ১৫টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। গরুর ব্যাপারি মো. জাহাঙ্গীর বলেন, প্রতিবছর দৌলতদিয়া ঘাটে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে এই তীব্র গরমে অনেক গরু গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে এবার পদ্মা সেতু হওয়ায় ফেরিতে চাপ কম পড়ায় কোনো ধরনের দুর্ভোগ ছাড়াই চুয়াডাঙ্গা থেকে সরাসরি দৌলতদিয়া ঘাটে আসতে পেরেছি এবং সময়মতো গরু ঢাকায় নিতে পারবো বলে আশা করছি। গরুর মালিক নাছের ও আব্দুর রহিম জানান, তারা কুষ্টিয়া থেকে ২০টি গরু নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরে যাচ্ছেন। দৌলতদিয়ার রাস্তায় কোনো যানজট নেই। সরাসরি গাড়ি ফেরিঘাটে এসেছে। তবে গতবছরও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। সেসময় গরমে গরু ও তারা অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং সময়মতো গরু হাটে নিতে না পারায় লোকসান হয়েছে। কিন্তু এবার সঠিক সময়ে ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন এবং ভালো দামে গরু বিক্রি করবেন বলে আশাবাদী তারা। পশুবাহী ট্রাকের চালক মাসুদ রানা বলেন, মেহেরপুর থেকে দুইটি গাড়িতে করে ৩০টি গরু নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। কোনোরকম ভোগান্তি ছাড়াই ফেরি ঘাটে চলে এসেছি। ফলে গরু ও আমাদের কষ্ট কম হয়েছে এবং দ্রুত ঢাকায় পৌঁছাতে পারবো। তিনি আরও বলেন, এর আগে কখনো এত তাড়াতাড়ি ফেরিঘাটে আসতে পারিনি। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, নদীতে স্রোত বেশি থাকায় ফেরিগুলোর নদী পারাপার হতে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে। বর্তমানে এরুটে ছোট-বড় ১৯টি ফেরি রয়েছে।