কুষ্টিয়া মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহনকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না: ওসি ইদ্রিস আলী

0
274
হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ইদ্রিস আলী

কুষ্টিয়া অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ৭৫ কিলোমিটার সড়কের নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশ। কুষ্টিয়া থেকে রাজবাড়ী, ঝিনাইদাহ পাবনার রুটে কাজ করছেন কুষ্টিয়া জেলা হাইওয়ে পুলিশ। হাইওয়ে পুলিশ এসব রুটে বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে থ্রি হুইলার, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও সড়কে চাঁদাবাজকারীদের রোধ করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এই সব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ডিপার্টমেন্টাল নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিন প্রসিকিউশন দাখিল করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
কুষ্টিয়ায় দিনদিন থ্রি হুইলার এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাইওয়ে পুলিশকে কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। ফিটনেসবিহীন যানবাহনকে মামলা দিলে প্রচুর সুপারিশের কারণে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতেও তাদের বিঘœ ঘটে। বর্তমানে কুষ্টিয়া মহাসড়কে চাঁদাবাজ, ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের নেই কোন উৎপাত। সড়কে মাদক বহনও নেই বললেই চলে। মহামান্য হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশনা রয়েছে কোন প্রকার ত্রী হুইলার যানবাহন মহাসড়কে চলাচল করতে পারবে না। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গেলে কিছু অসাধু ব্যক্তি কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে তাদের কার্যবিধির উপরে কুৎসা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। গতকাল দুপুর আনুমানিক একটার সময় কুষ্টিয়ার চৌড়হাঁস হাইওয়ে পুলিশ ভাদালিয়া অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে ফিটনেসবিহীন যানবাহনগুলোকে মামলা দিতে গিয়ে এক রেন্ট-এ-কার চালকের সঙ্গে পুলিশকে বির্তকের মধ্যে ফেলে। এক পর্যায়ে চালক তার সহকর্মীদের মোবাইল ফোন করে ডেকে এনে সড়কের উপরে বিশৃংখলা ভাবে যানবাহন থামিয়ে যানজটের সৃষ্টি করে। এর সাথে কিছু অটোচালক যুক্ত হয়ে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অশালীন ভাবে কথা বলে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় সড়কে দীর্ঘ দুই কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে দ্রæত কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি ও কুষ্টিয়া ট্রাফিক ইন্সপেক্টরসহ পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে যানবহন চালকদের সাথে কথা বলে যানজট নিরসন করেন। হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, যানবাহন চালক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আলোচনা শুরু হয়। শুরু থেকে চালকরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, আমরা পুলিশ-প্রশাসনের প্রয়োজনে গাড়ি চেয়ে থাকলে আমরা গাড়ি দিয়ে থাকি, তাইলে আমাদের গাড়ি আটক করবে কেন? এসব বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ইদ্রিস আলী বলেন, গাড়ি চালকরা আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ করেছে তার একটি প্রমাণ করতে পারলে আমি চাকরি ছেড়ে দিব। সরকার আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করতে আমি বদ্ধপরিকর। যেখানে হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার বারবার করে বলেছে মহাসড়কে কোন প্রকার অবৈধ যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। সেখানে আমার উপরে যে দায়িত্ব রয়েছে সে দায়িত্ব আমি গুরুত্বসহকারে পালন করছি। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তাদেরকে যতটুকু ছাড় দেওয়ার প্রয়োজন ততটুকুই দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে আলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বিশ্বাস উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, চালকরা চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশের ওসির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।