কুষ্টিয়ায় কৃষকের সাথে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সাইফুদ দৌলা তরুন!

0
392
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় কৃষকের সাথে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কেন্দ্রীয় কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি সাইফুদ দৌলা তরুন। ছবি: গড়াইনিউজ

কুষ্টিয়া অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় কৃষকের সাথে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কেন্দ্রীয় কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি সাইফুদ দৌলা তরুন। বর্তমানে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কৃষকরা। আমন ঘরে তোলার পর প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে এ চাষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন কুষ্টিয়া জেলার কৃষকরা। ইরি-বোরো চাষের গুরুত্বপূর্ণ সময় এখনই। এ দুই মাস বোরো জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে হয়। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কেন্দ্রীয় কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি সাইফুদ দৌলা তরুন এর পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে সার বীজ নগদ অর্থ এবং খাবার বিতরন করা হয়। এই মৌসুমে যেসব কৃষকরা ধান কাটতে পারছিলেন না তাদের পাশে থেকে নিজ মাঠে যেয়ে ধান কেটে দিয়েছেন। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রামের কৃষক মোহাব্বত আলী জানান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কেন্দ্রীয় কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি সাইফুদ দৌলা তরুন ভাই সব সময় আমাদের পাশে থাকেন। আমাদের এই ইউনিয়নের কৃষকদের জন্য তিনি অনেক কাজ করেছেন। আমাদের আমন ধান কাটতে সাহায্য করেছেন আবার এই ইরি বোরো মৌসুমে যখন ধান এর চারা রোপন করার জন্য লোক পাচ্ছিলাম না তিনি এসে আমাদের সাথে থেকে মাঠে নেমে ধান এর চারা রোপন করেছেন। এদিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কেন্দ্রীয় কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি সাইফুদ দৌলা তরুন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কুষ্টিয়াতে এবার বীজতলার কোনো ক্ষতি হয়নি। কালবৈশাখীর কবল থেকে নিরাপদে ধান ঘরে তোলার জন্য কুষ্টিয়ার কৃষকরা এবার আগাম বীজতলা তৈরি করেছিলেন। তাই রোপণও শুরু হয় অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটা আগে। জেলা জুড়ে এখন চলছে ধানের চারা রোপণের মহোৎসব। বর্তমানে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কৃষকরা। ভয়ে ধুঁকছেন কুষ্টিয়া জেলার ফসলনির্ভর কিষানকিষানিরা। নানান প্রতিকূলতার মধ্যে তাঁরা ইরি বোরো আবাদের প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছেন। তারপরও তীব্র শীত উপেক্ষা করে পুরোদমে কাজ করছেন তাঁরা। কাকডাকা ভোর থেকে তাঁদের কাজ শুরু হয়। করোনা মহামারীর জন্য শ্রমিকসংকট, সময়মতো টেকসই বাঁধ না হওয়ার ঝুঁকি, পানি আটকে থাকা, স্থানীয় ভোটের ডামাডোল ইত্যাদির প্রতিকূলতার সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি। সব মিলিয়ে এবার উৎপাদনের খরচও বাড়বে। জমিতে সেচ দেওয়া, ধান কাটা-মাড়াইও ডিজেল এবং কেরোসিনের ওপর নির্ভরশীল। ধানের দাম না বাড়লে তাঁদের লোকসানে পড়তে হবে। ইতিমধ্যে লোকসানে পড়েছেন কিছু কৃষকরা। এই কৃষকদের পাশে আগেও ছিলাম এবং সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করবো। ইরি – বোরো চারা রোপণে এসময়ের শৈত্য প্রবাহ ও কুয়াশা কৃষকদের দমাতে পারে না। তাই সারাদেশের মত কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কৃষকরাও ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর প্রায় ৯০ হাজার ১১২ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ২২.৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রæয়ারী ১৭, ২০২২