কেন্দ্রে মাটিতে বসে বুলবুলের প্রতিবাদ

0
1139

গড়াইনিউজ২৪.কম:: রাজশাহীতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল একটি ভোটকেন্দ্রের ভেতরে মাটিতে বসে আছেন। কেন্দ্রে মেয়র প্রার্থীদের ব্যালট পেপার না থাকার অভিযোগ তুলে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর বিনোদপুর এলাকায় ইসলামীয়া কলেজ কেন্দ্রে তিনি এভাবে বসে পড়েন। দুপুর দুইটা পর্যন্ত বুলবুল কলেজ মাঠে ঘাসের ওপর একাই বসে ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে বৃষ্টিও হয়েছে। তবে বৃষ্টি আর কাদার মধ্যে তিনি সেখানেই বসে ছিলেন। তার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট তোফাজ্জল হোসেন তপুসহ কয়েকজন নেতাকর্মী থাকলেও তারা একটি ঘরের বারান্দায় বসে ছিলেন। বুলবুল গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, তিনি কেন্দ্রটিতে গিয়ে দেখেন, মেয়র প্রার্থীদের কোনো ব্যালট নেই। তিনি আশঙ্কা করছেন, মেয়র পদের ব্যালট আগেই সিল মেরে রাখা হয়েছে। এর প্রতিবাদে তিনি মাটিতে ঘাসের ওপর বসে প্রতিবাদ শুরু করেন। এই ভোটকেন্দ্রের ব্যালটের হিসাব বুঝিয়ে না দিলে উঠবেন না বলেও জানিয়েছেন।  সদ্য বিদায়ী মেয়র কেন্দ্রের ভেতর মাটিতে বসে পড়লে বাইরে হট্টগোল শুরু করেন তার সমর্থকরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। তবে বুলবুলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ-হেল শাফি। তিনি বলেন, ব্যালট পেপার নিয়ে তিনি ভুল বুঝে আছেন। তাকে সঠিক বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা চলছে।’ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আরও জানান, ‘ভোটেতো কোনো সমস্যা হচ্ছে না, ভোট চলছে। একটা পর্যন্ত ৯০০+ ভোট কাস্ট হয়েছে।’ ‘একটার দিকে তিনি (বুলবুল) এসেছিলেন অভিযোগ দিয়েছেন। আমরাও আমাদের কথা বলেছি। পোলিং এজেন্ট চলে গেলে কিংবা নিয়োগপত্র না দিলে আমরাতো তাদের ঢুকতে দিতে পারি না। সাতজনের লিস্ট দিয়েছিল, তার মধ্যে একজনের সই ছিলো না, বাকিদের ঢুকতে দিয়েছি।’ ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে বিঘ্ন ঘটলেও তা এখনও বন্ধ হয়নি বলেও জানান প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। নির্বাচনে অভাবনীয় আরেকটি ঘটনা ঘটিয়েছেন বুলবুল। সচরাচর সব প্রার্থীই সকালবেলা ভোট দিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শনে বের হন। তবে বুলবুল বেলা দুইটা পর্যন্ত নিজের ভোটই দেননি। তিনি ভোট দেবেন কি না, এটাও নিশ্চিত নয়।বুলবুল বলেন, ‘আমি এখানে চারটা পর্যন্ত থাকবো, দেখি কী হয়।’ এখানে কী হয়েছে-জানতে চাইলে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমি ১১টা সোয়া ১১টার দিকে এ কেন্দ্রে আসার পরে আমি প্রিজাইডিং কর্মকর্তার রুমে আমার পোলিং এজেন্টদের নিয়ে ঢুকি, যাদের বের করে দেয়া হয়েছিল।’ ‘সংশ্লিষ্ট রুমে যাওয়ার পরে বলা হয়, আমাদের এখানে ৩২৫টি করে ভোট ছিল, তার সব দেয়া হয়ে গেছে। দুইটা বুথে মনে হয় ১০০টি ব্যালেট রয়েছে। দুই হাজার ২৪৮টি ভোটের মধ্যে মেয়রের বাদবাকি ভোট দেয়া হয়ে গেছে।’ ‘আমি এখানে অবস্থান ধর্মঘট করেছি। চারটা পর্যন্ত জাতির কাছে, যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন, তাদের সন্তান ও আত্মীয় স্বজনের কাছে আমার প্রশ্ন জাতিকে আজ কোন দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?’ বুলবুল বলেন, ‘এ বিপন্ন গণতন্ত্রে আমি আমার ভোট পর্যন্ত দেই নাই। আমার পোলিং এজেন্টরা পর্যন্ত ভোট দেয় নাই।’ কতজন পোলিং এজেন্টকে বের করে দিয়েছে এমন প্রশ্ন- বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘সমগ্র রাজশাহীতে একই চিত্র। আমি কোনটার নাম বলব?