আরো টেস্ট খেলার আকুতি মুশফিকের

0
2170
গড়াইনিউজ২৪.কম::এবারের পুরো সিরিজে বারবার আলোচিত হয়েছে বিষয়টি। ইংলিশ ক্রিকেটারদের অনেকে অবাক হয়েছেন জেনে, ১৫ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। সেটিও মাত্র দুই ম্যাচেই শেষ হয়ে যাবে ২০১৬ সালের টেস্ট সূচি। এমন বিরতিতে বারবার পড়ে বাংলাদেশ। গতকাল ম্যাচ শেষে মাইক আথারটনও প্রশ্নটা করলেন। জবাবে টেস্ট অধিনায়ক মুশফিক এক রকম আকুতিই জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে যেন আরও বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ দেওয়া হয়। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ বদলে যাওয়া এক দল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই ঐতিহাসিক জয়ের পরও টেস্টে বাংলাদেশের দুর্বলতা অস্বীকার করার উপায় তো নেই। তবে বাংলাদেশ খেলতেই নামে এত দীর্ঘ বিরতির পর, এক সিরিজে খেলোয়াড়েরা যা শেখেন, পরের সিরিজ আসতে আসতেই তো ভুলে যান মুশফিক বললেন, আমরা ধীরে ধীরে টেস্টেও নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছি। তবে আরও বেশি টেস্ট খেলতে পারলে আরও বেশি বেশি ভালো ফল তো অবশ্যই আসত। আশা করি, আইসিসি ও অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডগুলো আমাদের বিপক্ষে বেশি করে খেলবে।  মুশফিকের নিজের এটি ছিল ৫০তম টেস্ট। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে মুহূর্তটা স্মরণীয় করে রাখতে না পারলেও দলীয় সাফল্যে সেই হতাশা অবশ্যই মুছে গেছে তাঁর। কিন্তু মুশফিকের এই দুঃখ কী করে মুছবে, ৫০টি টেস্ট ম্যাচ খেলতে ১১ বছর সময় লাগল তাঁর। দলের বাকি সিনিয়র ক্রিকেটারদেরও খুব বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নেই।
সাকিব আর কুকের আন্তর্জাতিক অভিষেক প্রায়ই কাছাকাছি সময়ে। দু’জনই আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রেখেছেন ২০০৬ সালে। এই ১০ বছরে কুক খেলেছেন ১৩৩ টেস্ট, সাকিব সেখানে ৪২টি! এমনকি ২০১২ সালের ডিসেম্বরে টেস্ট অভিষেক হওয়া জো রুটও সাকিবের চেয়ে বেশি টেস্ট খেলেছেন, ৪৬টি। তামিম প্রায়ই আফসোস করেন, অন্য দলের মতো সুযোগ পেলে এত দিন ৮০-৯০ টেস্ট খেলে ফেলতেন। তাঁর রানটাও হয়তো দ্বিগুণ হতো। এমনও হয়েছে, বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড় দুর্দান্ত ফর্মে থেকে কোনো সিরিজ শেষ করলেন। পরের টেস্ট সিরিজটা খেলতে খেলতে ফর্মই চলে গেল তাঁর। তামিমই যেমন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস ও ওল্ড ট্রাফোর্ডে টানা সেঞ্চুরির সেই সিরিজটার ১৪ মাস পর খেলেছেন আরেক টেস্ট সিরিজ! এ বছর এখনো টেস্টই খেলেনি বাংলাদেশ। বছরের শেষ দিকে এসে দু’টি টেস্ট খেলছে। ২০১২ সালেও এমন মাত্র দু’টি টেস্ট খেলছিল বাংলাদেশ পুরো বছরে।