কুষ্টিয়া হোসেনাবাদ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে বিস্তর অনিয়ম যেনো দেখার কেউ নেই!

0
2732

দৌলতপুর প্রতিনিধি, গড়াইনিউজ২৪.কম:: কুষ্টিয়া দৌলতপুরে একমাত্র সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোসেনাবাদ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ। আর এই সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ, যেনো দেখার কেউ নেই! সুত্র মতে জানা যায়, প্রকৌশলী মোঃ মোশারফ হোসেন অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেওয়ার পর থেকে শিক্ষার মান দিনদিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। জানা যায়, তিনি শিক্ষকদের নিয়মিত ক্লাস নিতে বাধ্য করতেন এবং ছাএ ছাএীদের ক্লাস নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করেন। অধ্যক্ষ এমন ভাল দিক গুলো মেনে নিতে পারেননি কিছু কতিপয় শিক্ষক। তাই অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেনকে প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িত করার জন্য খুব চেষ্টা করছেন ৩ শিক্ষক মোঃআব্দুর রহিম (চিপইনস্ট্রাক্টর ইলেকট্রিক), কাজল বরন বিশ্বাস(চিফইনস্ট্রাক্টর পোল্ট্রি), আবুল হাসনাত মোঃসোহেল রানা (ইনস্ট্রাক্টর মেইনটেন্যাস)। সোহেল রানা১৩/৫/২০০৬ইং হতে ১১/৮/২০১১ ইং পর্যন্ত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকা অবস্থাতে একের পর এক ছাএীদের সাথে জোর পূর্বক অনৈতিক সম্পর্ক গড়তে থাকে। ছাএ ছাএী দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৭/৪/২০১০ইং তারিখে অধ্যক্ষের অফিসে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং তার বিরুদ্ধে ২২জন শিক্ষক কর্মচারী রেজুলেশনে সাক্ষর করেন। পরে ঘটনা সত্য প্রমানিত হওয়াতে রানা কে লক্ষিপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে বদলি করে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর তিনি ওখানে ও একি কাজ করে বসেন এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর তাকে আবার হোসেনাবাদ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে বদলি করে।
ছাত্র ছাত্রীদের চাপে অধ্যাক্ষ মোঃ মোশারফ হোসেন’ রানা কে কোন ক্লাস দেননি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রদের এবং অধ্যক্ষকে দেখেনেওয়ার হুমকিদেয় বলে জানা যায়, এদিকে ইলেকট্রিক ডিপার্টমেন্টর চিফইনস্ট্রাক্টর মোঃআব্দুর রহিম সাহেব অফিস সহকারী আওরংজেব বিশাসের যোগসাজশে ল্যাবের ৭টি কম্পিউটার রাতের আধারে বের করে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য অধ্যক্ষ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত পত্র প্রেরন করেন। রহিম আগে পার্বতীপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে থাকার সময় ছাত্রদের অভিযোগে বদলি হয়ে আসেন হোসেনাবাদ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে। তার চলাফেরা সন্দেহ জনক বলে এলাকা বাসি অভিযোগ করেন ও সাময়িক বহীকৃত হন।
সাময়িক বহিকৃত অধ্যক্ষ মোশারফ হসেন জানান তিনি ৩১ জুলাই ঢাকাতে থাকার কারনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব দেন কাজল বরুন বিশ্বাসকে। ৩১ জুলাই বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গীবাদ বিরোধী সমাবেশ ও মানব বন্ধন হওয়ার কথা থাকলেও রহিম এর ইসারাতে কাজল বরুন তা পালন করেনি। এ দিকে আব্দুর রহিম তার ডিপার্টমেন্টের ছাত্রদের কাছ থেকে পরিক্ষার মার্ক দেওয়ার নামকরে সাদা কাগজে সাক্ষর করে নেন এবং কাগজটির সাথে একটি দরখাস্ত লিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রেরন করেন এবং কোন শোকজ নোটিশ ছাড়াই অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করে অধিদপ্তর।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এক আদেশে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কাজল বরন কে দায়িত্ব প্রদান করে।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কাজল বরন অধ্যক্ষ এবং তার স্ত্রী। একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মাজুদা বেগমকে নানা ভাবে হয়রানি করতে থাকেন।
তিনি ছাত্র ছাত্রীদের উপেক্ষা করে সোহেল রানা কে ক্লাস নেওয়ার অনুমতি দেয়। ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাস বর্জন করে ঐ শিক্ষকের।
পরে তারা ২২/১০/২০১৬ ইং তারিখে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ প্রদান করে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে।
এবং ঐ দিন সহেল রানা কে ইউএনও কাছে সব দোষ স্বীকার করেন।
হোসেনাবাদ টেকনিক্যালে ২২/১০/২০১৬ তারিকে খবর সংগ্রহ করতে গেলে গড়াইনিউজ২৪.কম এর দৌলতপুর প্রতিনিধি ও দৌলতপুর রিপোর্টস ক্লাব এর সহ সভাপতি ও সদস্য কে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে এবং তাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়ার জন্য মোবাইলে ফোন দিলে তাদের কেউ ফোন রিসিভ করে নি।