কুষ্টিয়া শহরে ফুটপাত ও ড্রেনের বেহাল অবস্থা!

0
306
ড্রেন ও ফুটপাতের বেহাল অবস্থা থাকায় তাদের চলাচলের চরম দুরবস্থা হয়ে গেছে।

কুষ্টিয়া অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: কুষ্টিয়া পৌরসভা গত দুই বছর আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নেশনটেকের মাধ্যমে শতকোটি টাকা ব্যায়ে কুষ্টিয়া শহরের রাস্তা, ফুটপাত, সৌন্দর্যবর্ধন, ড্রেননির্মাণ ও পূর্ণ সংস্কারের কাজ করেন। কিন্তু দুই বছর যেতে না যেতেই কুষ্টিয়া পৌরসভার গাফিলতি ও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে রাস্তা, ড্রেন ও ফুটপাতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম দূর্ভোগে পড়েছে পথচারী ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা। পথচারীরা অভিযোগ করে বলেন, এভাবে ড্রেন ও ফুটপাতের বেহাল অবস্থা থাকায় তাদের চলাচলের চরম দুরবস্থা হয়ে গেছে। কুষ্টিয়া শহরের ব্যস্ততম সড়ক এন.এস রোডের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রাস্তা ও ফুটপাত দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ার কারণে ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে সাধারণ মানুষ। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আর.সি.আর.সি রোড়ের রাস্তা ও ড্রেনের কাজ ৩ বছর আগে শুরু হলেও আংশিক কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আর কোনো খোঁজখবর নেই। কুষ্টিয়া কোট স্টেশন থেকে মোল্লাতেঘড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তায় ছোট বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে যানবাহনের ধীর গতিতে চলাচলের ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে অসুস্থ রোগীসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। কুষ্টিয়া পৌরসভার মধ্যে বেশির ভাগ রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোন কোন রাস্তার কাজ তিন বছর আগে শুরু হলেও তা এখনও শেষ হয়নি। নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে সামনের বর্ষার আগেই এইসব রাস্তা ও ড্রেনের কাজ শেষ না হলে সেই সব এলাকা দীর্ঘমেয়াদী পানিবন্দি হয়ে যাবে এতে পৌর নাগরিক চরম দুর্ভোগের শিকার হবে। এই ড্রেন থেকে পানি নিষ্কাশন না করায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। এসব এলাকার মানুষ ও পথচারীরা মশা-মাছিসহ বিভিন্ন কীটপতঙ্গের উৎপাতে অতিষ্ঠ। নতুন রাস্তা নির্মাণ করার জন্য পুরানো রাস্তাটি বিভিন্ন জায়গায় খুঁড়েখুঁড়ে গর্ত করে রেখে দেওয়া হয়েছে। এতে দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েছে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, শহরের বেশিরভাগ রাস্তাতেই ডাবøু,বিএম সম্পূর্ণ হয়েছে। খুব শীঘ্রই বাদবাকি কাজ সর্ম্পূন্ন হবে, তিনি আরো জানান,আরও বেশ কয়েকটি কাজের নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। পৌরকর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনার কিছুটা ভুলের কারণে সাধারণ মানুষের কিছুটা ভোগান্তি হয়েছে তবে খুব শিগগিরই এ ভোগান্তি লাঘব হবে। কুষ্টিয়া শহরের বিকল্প রাস্তা না থাকায় যান চলাচলসহ স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, অফিস আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সকল কাজকর্মের জন্য এই রাস্তাটিই একমাত্র ভরসা।