করোনাকালীন সময়ে নাগরিক সেবায় এগিয়ে কুষ্টিয়া নাগরিক পরিষদ!

0
630
সরকারি বিধিনিষেধ ও কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ভুমিকা রাখছে কুষ্টিয়া নাগরিক পরিষদ।

কুষ্টিয়া অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: সরকারি বিধিনিষেধ ও কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ভুমিকা রাখছে কুষ্টিয়া নাগরিক পরিষদ। করোনার ২য় ধাপে করোনার আক্রান্তর প্রভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে, এই প্রভাব বেড়ে যাওয়ার কারনে কঠোর লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আদেশ দেয় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক। তারই ধারাবাহিকতায় এই সরকারি বিধিনিষেধ ও কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে শুধু আইন-শৃংখলা বাহিনী নয় বরং তাদের সাথে মাঠে রয়েছে কুষ্টিয়া নাগরিক পরিষদ। করোনা মহামারিতে প্রাণহানি ঘটছে অসংখ্য মানুষের। কুষ্টিয়াতেও অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং শত মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন। করোনা মহামারির ২য় ধাপে কুষ্টিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে মৃত্যুবরণও করছে প্রচুর। এ সময় জরুরি সেবা দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচানো ও জনসচেতনতা রক্ষার কাজে নিয়োজিত আছেন নাগরিক পরিষদ কুষ্টিয়া। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় মানুষের সেবায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এ ক্রান্তিকালে মাঠে নেমেছে কুষ্টিয়া নাগরিক পরিষদ এর সদস্যরা। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কুষ্টিয়ায় লক্ষাধিক মানুষের সেবায় নিবেদিত সম্মুখযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ও তাঁদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সুরক্ষা ও পরিচ্ছন্নতাসামগ্রী প্রদান করছে কুষ্টিয়া নাগরিক পরিষদ। এর মধ্যে নিজ নিজ ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের পক্ষে জনপ্রতিনিধিরা সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এভাবেই করোনাকালীন সময়ে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি জনগণকে বোঝানো, মাইকিং, প্রচারপত্র এবং জনসচেতনতা করে যাচ্ছি। এ ছাড়া তাঁরা সবাইকে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
কুষ্টিয়া নাগরিক পরিষদের সভাপতি সাইফুদ দৌলা তরুন বলেন, গত এক সপ্তাহে আমরা অনেক উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। সংক্রমণের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার সাথে সাথে মৃতের সংখ্যাও কিন্তু উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। কুষ্টিয়ায় করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সাংসদ মাহবুবউল আলম হানিফ সবাইকে এই বৈশ্বিক মহামারী মোকাবেলায় কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনার বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখতে পাচ্ছি। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে করোনা প্রতিরোধে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। সার্বিক সহায়তা ছাড়াও করোনা আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এজন্য তার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ। আর তাই কুষ্টিয়া পৌরবাসীকে লকডাউনের বিধি নিষেধ মেনে চলার জন্য প্রতিটি জায়গায় মাইকিং করে জনসচেতনতা করতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে কুষ্টিয়া নাগরিক পরিষদ। সবাই সর্তক হোন, সুস্থ থাকুন, মাস্ক পরিধান করুন, অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হবেন না। নিজে সুস্থ থাকুন পরিবারকে সুস্থ রাখুন।
কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিন উদ্দিন বলেন, বর্তমান করোনা মহামারীতে আমরা ভালো নেই। কুষ্টিয়া শহর তথা পৌর এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। বিশেষ করে ঈদের পর থেকেই সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকে। ঈদের আগে যেখানে সংক্রমণের হার ছিল ৭ থেকে ৮ শতাংশ সেখানে বর্তমানে ৩০ শতাংশের বেশি সুতরাং আমরা কুষ্টিয়া পৌরবাসী খুব ঝুঁকির মধ্যে আছি। গত এক সপ্তাহে আমরা অনেক উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। সংক্রমণের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার সাথে সাথে মৃতের সংখ্যাও কিন্তু উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। কুষ্টিয়ায় করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সাংসদ মাহবুবউল আলম হানিফ, সবাইকে এই বৈশ্বিক মহামারী মোকাবেলায় কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনার বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখতে পাচ্ছি। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে করোনা প্রতিরোধে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। সার্বিক সহায়তা ছাড়াও করোনা আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এজন্য তার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ। অবশ্য এই বৈশ্বিক মহামারী মোকাবেলায় প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা। এই মহামারি আপনার-আমার সবাইকে মোকাবেলা করতে হবে। সবার অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো নেই। যারা দিন-মজুর ভাই বোন আছেন তাদের কষ্টে পৌর পরিষদ অত্যন্ত ব্যথিত। পৌর পরিষদ সাধ্যমতো চেষ্টা করছে আপনাদের পাশে থাকার। তবে হ্যাঁ এই করোনা মহামারীতে শুধুমাত্র পৌরসভা কিংবা সরকার নয় সকলের পাশে সমাজের বিত্তবান দের এগিয়ে আসতে হবে। তাই আসুন আমরা ১৪নং ওয়ার্ডসহ কুষ্টিয়া পৌরবাসী সবাই এই বৈশ্বিক করোনা মহামারীর মোকাবেলায় একযোগে কাজ করি।
কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবু বলেন, বিশ্বব্যাপী এ মহামারির সময় পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। কুষ্টিয়াতে করোনার ২য় ধাপে করোনার আক্রান্তের প্রভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে, তাই আমার ১৯ নং ওয়ার্ডে কঠোর লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য ওয়ার্ডবাসীকে মাইকিং করে অনুরোধ করছি। দয়া করে ১৯ নং ওয়ার্ডবাসী আপনারা সবাই সচেতন হন, নাহলে হয়তো আমার আপনার স্বজনরাও যোগ হতে পারে করোনার মহামারীর এই মৃত্যুর মিছিলে। আর তাই কুষ্টিয়া পৌরবাসীকে লকডাউনের বিধি নিষেধ মেনে চলার জন্য প্রতিটি জায়গায় মাইকিং করে জনসচেতনতা করতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি।
এদিকে হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সম্পা মাহমুদ বলেন, আমার ইউনিয়নে কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে চলেছি। হরিপুর ইউনিয়নের মানুষ যখন কোন কিছুতেই স্বাস্থ্যবিধি মানছিলো না ঠিক তখন কুষ্টিয়ার গণমানুষের নেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপির পরামর্শে ও দিক নির্দেশনায় মাঠে নেমেছেন অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম সম্পা মাহমুদ। তিনি নিজে মাইক হাতে নিয়ে ইউনিয়নের প্রতিটি প্রান্তরে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন। হরিপুর ব্রিজ থেকে সকল প্রকার যানবাহন, রিক্সা, ভ্যান, অটো রিক্সা বন্ধ ঘোষনা করেন। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেও বৃষ্টিতে ভিজেও সেই দায়িত্ব পালন করছেন। সবাই সর্তক হোন, সুস্থ থাকুন, মাস্ক পরিধান করুন, অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হবেন না। নিজে সুস্থ থাকুন পরিবারকে সুস্থ রাখুন।