কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশ জনসেবায় নিরলসভাবে কাজ করছে

0
1848
কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই রেজাউল করিম জনসেবায় নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।

কুষ্টিয়া অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া-মেহেরপুর, কুষ্টিয়া-সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন গুলোর চলাচল বন্ধে হাইওয়ে পুলিশের সার্বক্ষণিক তৎপরতা, নজরদারি ও আস্থাভাজন হিসেবে নিরলস কাজ করছে কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশ। সেই সাথে কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই রেজাউল করিম জনসেবায় নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। এ সময়ের মধ্যে হাইওয়ে পুলিশ বিপুল সংখ্যক অটোরিক্সা, ভ্যান, নছিমন, করিম, সিএনজি আটক করা হয়েছে। এছাড়া, স্পিডগানের সাহায্যে মুহূর্তেই নির্ণয় হচ্ছে চলন্ত গাড়ির গতিবেগ। আবার অ্যালকোহল ডিটেক্টর দিয়ে ৪ সেকেন্ডেই জানা যাচ্ছে চালক মাদকাসক্ত কিনা। কুষ্টিয়া মহাসড়কে এ ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার শুরু করেছে চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ী। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধ ও নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতের পাশাপাশি ট্রাফিক আইনসংক্রান্ত মামলার ভোগান্তি কমাবে। জানা যায়, বারখাদা ত্রিমোহনী ও বটতৈল মোড়ে দুইটি স্থানে অতিরিক্ত আইজি ও হাইওয়ে পুলিশ সুপার মাদারীপুরের দিকনির্দেশনায় ফাঁড়ি ইনচার্জ রেজাউল করিম একদিনে ১১ টি মামলা দায়ের করেন এবং গত ২ মাসে ৬২১ টি মামলা দায়ের করেন যার ফলে সরকারী কোষাগারে লক্ষাধীক টাকা রাজস্ব জমা পড়েছে। কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই রেজাউল করিম রেজা জানান, মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। যানবাহন বান্ধব মহাসড়ক নিশ্চিত করতে এখন বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে দ্রæততম সময়ের মধ্যে যানবাহনের গতিবেগ, চালক মাদকাসক্ত কিনা এবং গাড়ির কাগজপত্র সব ঠিক আছে কিনা, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। এতে আমাদের বেশি সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে না। একই সঙ্গে খুব সহজেই হাইওয়েতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও গতকাল এমনি একটি কাজ করে নজির সৃষ্টি করেছেন কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই রেজাউল করিম। গতকাল ২০শে অক্টোবর দিবাগত রাতে কুমারখালী কৃষি কর্মকর্তার স্ত্রী শ্রীমতী পপি সরকার কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়কের লক্ষীপুর সংলগ্ন জোরা ব্রিজ এর পার্শে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন বলে জানা যায়। কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশ দ্রæত ঘটনা স্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় ভর্তি করেন। একটু সুস্থতা অনূভব করলে শ্রীমতী পপি সরকার জানান, ঘটনাস্থলে তার সাথে থাকা ব্যাগ ফেলে রেখে এসেছে। তাৎক্ষনিকভাবে কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই রেজাউল করিম তার টিমকে নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌছায়। মাত্র দুই ঘন্টার ব্যবধানে হারানো ব্যাগটিতে থাকা সমস্থ জিনিসপত্র অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয় তারা। হারানো ব্যাগের মধ্যে ছিল নগদ ১২৫০০ টাকা, একটি ১ ভরি ওজনে চেইন, ১.৫ ভরি ওজনের হাতের বালা সহ আরো অনেক সামগ্রী। পরর্বতীতে শ্রীমতী পপি সরকারের স্বামী সহ নিজ পরিবার বর্গের হাতে সমস্থ জিনিসপত্র অক্ষত অবস্থায় বুঝিয়ে দেন। এছাড়া বিভিন্ন রকম প্রযুক্তি ব্যবহার, সার্বক্ষণিক তৎপরতা ও নজরদারি জোরদার পূর্বক তা সম্ভব হয়েছে। একটা সময় ছিল কুষ্টিয়ার মহাসড়ক গুলোতে হরহামেশা অবৈধ যানবাহন চলাচল করতো। ফলে সড়ক জুড়ে শুধু দুর্ঘটনা আর দর্ঘটনার প্রয়াস ছিল। সাথে ছিল অবৈধ যানবাহনের চলাফেরা আর নিয়ন্ত্রনহীন গাড়ির গতিবেগ। কিন্তু সেই চিত্র এখন অনেকটাই পাল্টে গেছে। যার কারন হিসেবে দ্বায়ী করা হতো নিষিদ্ধ অটোরিক্সা, সিএনজি, লেগুনা সহ অন্যান্য অবৈধ যানবাহন। কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই রেজাউল করিমের কঠোর তৎপরতা আর নজরদারি থাকায় চলছে না মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ অটোরিক্সা, সিএনজি, লেগুনা সহ অন্যান্য অবৈধ যানবাহন।