নতুন মন্ত্রিসভার শপথ নিয়ে ছুটির দিনেও ব্যস্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

0
859

গড়াইনিউজ২৪.কম:: নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অফিসিয়াল কাজ শুরু করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আজ শনিবার (৫ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ খোলা রয়েছে। এরই মধ্যে সচিবালয়ে নিজ দফতরে এসেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সটিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। এছাড়াও এ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ও আইন মন্ত্রণালয় সচিবরাও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এসেছেন। তারা নতুন মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণের ফাইল তৈরির কাজসহ আনুষাঙ্গিক কাজগুলো সম্পন্ন করে রাখছেন। এই মুহূর্তে কতজন মন্ত্রীর ফাইল তৈরির কাজ করছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যা জানাতে পারেনি কেউই। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নতুন ও পুরনো মিলিয়ে প্রাথমিক ৪৫-৫০ জনের একটি নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে সোমবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে সাড়ে ৩টায়। দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের বছর খানেক পরে মন্ত্রিপরিষদের আকার বাড়িয়ে ৫৫-৬০ করা হতে পারে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন,  ‘সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে বলে আশা করছি। এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের। তাই এ সংশ্লিষ্ট কাজগুলো গুছিয়ে রাখার জন্যই আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কাজ করছি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব নাজমুল হক সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি টিম বঙ্গভবনে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজনের ব্যবস্থাপনার তদারকি করতেই তারা বঙ্গভবনের গেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবও বঙ্গবভনে যাবেন। এ মুহূর্তে তিনি গণভবনে আছেন। সেখানে থেকে সরাসরি বঙ্গভবনে যাবেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক বৈঠকে তিনি সেখানে যোগ দেবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবার চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে নির্বাচনে জিতে ১২ জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিপরিষদে এবার নতুন যুক্ত হচ্ছেন তারা; যারা সৎ, সাহসী, দক্ষ ও পরীক্ষিত। একই সঙ্গে শিক্ষিত তরুণ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির, কোথাও কোনও বদনাম নাই। সংসদ সদস্য হিসেবেও যাদের কোনও দুর্নাম নাই। এমন কয়েকজন সংসদ সদস্য প্রথমবার নতুন মন্ত্রিসভায় যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। আবার একইসঙ্গে যারা দলের জন্য বিভিন্ন সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন অথচ তারা সংসদ সদস্য নন, এমন নেতাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হিসেবে সভায় স্থান দিতে পারেন শেখ হাসিনা। মেধা ও দক্ষতার সংমিশ্রণে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে চান তিনি। মাঠ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নতুন সংসদ সদস্যও এবারের মন্ত্রিসভায় যুক্ত হবেন, যারা দলের ও সরকারের আগামী দিনের প্রতিনিধিত্ব করবেন। মোট কথা সরকারের দক্ষ মন্ত্রী ও দক্ষ নেতা হিসেবে এদের গড়ে তুলতে চান প্রধানমন্ত্রী। তবে দলের ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা এবার মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন, যা চূড়ান্ত।