কুষ্টিয়ায় ঝাউদিয়ার লাল্টূ মিয়া সনদপত্রে বয়স জালিয়াতি করে পুলিশে চাকুরী !

0
2184

re

কুষ্টিয়া অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার ঝাউদিয়া ইউপির বৈদ্যনাথ গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে লাল্টূ মিয়ার বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষার সনদপত্র জালিয়াতি করে বয়স কমিয়ে পুলিশ সদস্য হিসেবে নিয়োগ নেওয়ার বিস্তর অভিযোগ উঠেছে, যেন দেখার কেউ নেই! সূত্র মতে জানা যায়, লাল্টূ মিয়া ২০০২ সালে কুষ্টিয়া জেলার ঝাউদিয়া বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ২.৩৮ পেয়ে ব্যবসা বিভাগ হতে এসএসসি পাশ করেন। কিন্তু সার্টিফিকেট সুত্রে জানা যায়, লাল্টূ মিয়া ১৯৯৯-২০০০ সেশনের ছাত্র ছিলেন, যার নিবন্ধন নং ৩৩৫৮০৯- ৯৯/২০০০, রোল নং ৮২৬৯৬১, যশোর বোর্ড। এসএসসি পাশ করার সময় তার সনদপত্রে জন্ম তারিখ দেওয়া আছে ০৬/১২/১৯৮৫ সেই অনুযায়ী তার বর্তমান বয়স ৩১ বছর। কিন্তু লাল্টূ মিয়া ২০১২ সালে পুলিশ সদস্যে যোগদান করার সময় তার বয়স ছিল ২৭ বছর। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশের চাকরীর নিয়োগের সময় বয়স উল্লেখ থাকে সাধারন বা অন্যান্য প্রার্থীদের কোটার ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে, বয়স গণনার ক্ষেত্রে কোন অ্যাফিডেভিট গ্রহনযগ্য হবে না এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা এস.এস.সি অথবা সমমান কমপক্ষে জিপিএ ২.৫ হতে হবে। কিন্তু লাল্টূ মিয়ার কোন ক্ষেত্রেই মিলে না, তাহলে সে পুলিশের চাকরী পেল কিভাবে? এলাকাবাসীর বক্তব্য এবং বিভিন্ন সূত্র মতে জানা যায়, লাল্টূ মিয়া আসল সনদপত্র গোপন করে ভূয়া সনদপত্রে বয়স কম দেখিয়ে পুলিশ সদস্য পদে চাকুরী গ্রহন করেন যাহার বিপি নং ক-৩৭০ (আর আর এফ)। তিনি কিভাবে ভূয়া সনদপত্র ব্যবহার করে সরকারী চাকুরী করছেন তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার সচেতন মহল। সুত্রে জানা যায়, পুলিশ সদস্য লাল্টু বর্তমানে কুষ্টিয়া মডেল থানায় পুলিশ সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছেন। লাল্টূ মিয়ার এসএসসি পরীক্ষার অনলাইনে মার্কসীট সার্স করে দেখা যায়, ২০০২ সালে মাধ্যমিক পাশ করেছে তিনি। মার্কসীটে লাল্টূ মিয়ার জন্ম তারিখ ৬ ডিসেম্বর ১৯৮৫। অপরদিকে ঝাউদিয়া বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রেশন খাতার ৫৪ নং ক্রমিক নং অনুযায়ী ২০০২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ করেন। তাহলে প্রশ্ন আসে ২০০২ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ২০১২ সালে কিভাবে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যে নিয়োগ পেল লাল্টূ মিয়া। দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশ পুলিশের উপর ন্যস্ত থাকে । অথচ সেই পুলিশ সদস্যের নিয়োগ হলো বয়স লোপাট করে ভূয়া সনদের মাধ্যমে। তাহলে কি শস্যের মধ্যে ভূত না অন্য কিছু।
বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে দূর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ায় পুলিশের ভূমিকাকে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সেখানে লাল্টু মিয়া কিসের বলে ভূয়া সনদপত্র দিয়ে নিজ জেলায় পুলিশ সদস্য হিসেবে চাকুরী করছেন এ নিয়ে খতিয়ে দেখার জন্য কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।