মহেশপুর জি,এইচ,জি,পি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

0
1319

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা, গড়াইনিউজ২৪.কম:: ঝিনাইদহের মহেশপুর জি,এইচ,জি,পি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থগারিক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষক প্রতিনিধিরা।
এমদাদুল ইসলাম, ইলিয়াচ হোসেন ও পারভীন আক্তার গত বুধবার (২ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দাখিল কৃত লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান সহকারী গ্রন্থগারিক পদে তার ভাইকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য স্কুলে কোন সভা ডাকেননি। গোপনে শিক্ষক প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে অন্যন্যা সদস্যদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি রেজুলেশন করেছেন। এমনকি কোন রকম নিয়োগ বোর্ড না বসিয়ে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ কমিটির সদস্যদের ম্যানেজ করে নিজের ভাই আব্দুল মুন্নাফকে চাকুরী দিয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কথা রেকর্ড না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, স্কুলটি যেহেতু এমপিও ভূক্ত না সেহেতু বোর্ড না বসিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যার কারনে শিক্ষক প্রতিনিধিরা নিয়োগটি বাতিল পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে গতকাল বুধবার (২ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তিনি আরো জানান,নিয়োগ দেওয়ার একটি রেজুলেশনে আমাকে দিয়ে সাক্ষর করিয়ে নিয়ে গেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান,গত ২০১৫ সালের সরকার স্কুল প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ হাতে নেওয়ার ৩ দিন পূর্বে বিদ্যালয়ে কাব্যতীর্থ শিক্ষক ও সহকারী গ্রন্থগারিক পদের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে কাব্যতীর্থ শিক্ষক প্রার্থী হিসাবে আবেদন করলেও সহকারী গ্রন্থগারিক পদে কোন আবেদন পড়ে নি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক গোপনে তার ভাইকে অবৈধ নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে বলে জানান।
এদিকে আরো একটি সুত্রে জানাগেছে, বিদ্যালয়টি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের নাম কমিটির কাগজপত্রে ছিল না। কিন্তু ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান গোপালপুর গ্রামের শ্রী আনন্দ কুমারের কাছ থেকে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাকে প্রতিষ্ঠা সদস্য বানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠতা সভাপতি আব্দুল খালেক জান্নাত জানান,বিদ্যালয়টি ২০০০ সালে আমি প্রতিষ্ঠা করি। কিন্তু সে সময়ে প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে কারও নাম অন্তর ভুক্ত করা হয়নি। এমনকি সে সময়ে এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন রেজুলেশন করা হয়নি।