রাজপাড়া থানার ওসি আমান উল্লাহ জানান, রাত পৌনে ২টার দিকে কেয়া পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৭২৮৪) চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। এসময় চালক ঘুমিয়ে পড়ায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের বাসিন্দা বশিরের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই বশির ও তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাসের নিচ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
ওসি আরও জানান, বাসটির কিছু অংশ বশিরের পাশের বাড়িতেও ঢুকে পড়েছে। এতে দিপু মিয়া (৩৫) ও চম্পা বেগম (৩০) নামে এক দম্পতি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর দুর্ঘটনার পরই বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার পালিয়ে যায়। রামেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম জানান, দিপু মিয়া ও চম্পা বেগম ছাড়াও আরও ছয় বাসযাত্রীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- মামুন (৩০), ফিরোজ (৪০), মানিক (৩১), এমদাদুল (৩৪), উত্তম (৫০) ও শরীফ (২৩)। এছাড়া মোবারক (৫৫) ও টিপু (৩৪) নামে আরও দুই বাসযাত্রী চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত বাস যাত্রীদের বেশিরভাগেরই বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। আবুল কালাম আজাদ (৫৩) নামে ওই বাসের এক যাত্রী জানান, দুর্ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ আগ থেকেই বাসের চালক তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলেন। কয়েকবার তাকে সতর্কও করেন যাত্রীরা। পরে বহরমপুর রেলক্রসিংয়ের বাঁক না নিয়ে চালক সরাসরি বাড়ির ভেতরে গাড়ি ঢুকিয়ে দেয়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
রাজপাড়া থানার ওসি আমান উল্লাহ জানিয়েছেন, বাসচালককে গ্রেফতার করতে পুলিশ চেষ্টা করছে। দম্পতির মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হবে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিকে উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে বলে জানান ওসি।