ঢাকা অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: গেলো ২১ আগস্ট ফরিদপুরে সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে নিজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির পদ স্থগিত নেতা শামা ওবায়েদ। হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথা বলেন তিনি। রোববার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন শামা ওবায়েদ।
শামার বিবৃতিতে বলা হয়, দলের পক্ষ থেকে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব মেনে চলছি। আমি শামা ওবায়েদ, স্বাধীনতার ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে আমার অবস্থান তুলে ধরছি। প্রথমত, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত কেএম ওবায়দুর রহমানের জন্মস্থান এবং আমার শেষ ঠিকানা ফরিদপুরের নগরকান্দায় ২১ আগস্ট ঘটে যাওয়া সংঘর্ষে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় সাংগঠনিকভাবে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত তাকে আমি পূর্ণাঙ্গ সমর্থন জানাই। ২৪ আগস্ট আমাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষ এবং পরবর্তী মামলার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই আমি। দ্বিতীয়ত, গেলো ১৮ বছর আওয়ামী লীগের সময় গুম, খুন, জেল, জুলুমসহ সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। এমন ধ্বংসযজ্ঞ থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির আন্দোলন এখনও চলমান। গেলো জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণহত্যাকে উপেক্ষা করে ছাত্রজনতা ও গণতন্ত্রকামী সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সমর্থন ও সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রবল প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যায়। যার মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা লাভ করে। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। দেশ পুনর্গঠন ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তাতে দেশি-বিদেশি সবার সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত আছে। রক্তের বিনিময়ে যে অর্জন তা এখনও শুকায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আমার জন্মস্থান তথা আমার শেষ ঠিকানা ফরিদপুরের নগরকান্দা সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে বিএনপি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এখনও অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোই এখন আমার এলাকার মানুষের প্রত্যাশা।