ইভ্যালির শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

0
315
শামীমা নাসরিন।পুরোনো ছবি

ঢাকা অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ পরোয়ানা জারি করেন।

আজ বুধবার ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন শামীমা আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক বাদী হয়ে ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক প্রদীপ কুমার। আগামী ২২ জানুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইভ্যালি সম্পর্কে জানতে পারেন। সেখানে ইলেক্ট্রনিকস পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য কমে অফার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজার মূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেখতে পান। পরবর্তীতে তিনি ইভ্যালি অ্যাপসের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দুটি মোবাইল নম্বর দিয়ে দুটি একাউন্ট খুলেন। তিনি নিজের আইডি দিয়ে আনুমানিক পাঁচ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। আরেকটি আইডি বন্ধুর নামে খুলে ২৩ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। তিনি দুই আইডি দিয়ে সর্বমোট ২৮ লক্ষাধিক টাকার অর্ডার করেন বিকাশ/নগদ ও বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করেন। কিন্তু ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ তার অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও সাত মাস পেরিয়ে গেলেও তার অর্ডার করা পণ্যগুলো বুঝে পাননি।

এ ব্যাপারে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে। তিনি আজ পর্যন্ত মোট ২৮ লাখ টাকার অধিক অর্ডার করা পণ্য বুঝে পাননি। আসামিরা সারা দেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কম মূল্যে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে।