সৈয়দপুরে একই আমিনগনের এক পরিমাপেই দুই ফলাফল!

0
603

সৈয়দপুর প্রতিনিধি, মোঃ শোয়েব হোসেন: সৈয়দপুরের মিস্ত্রীপাড়ায় একই আমিনগনের এক পরিমাপে দুই রকম ফলাফল প্রাপ্তি এবং বানোয়াট ফলাফলকে ক্ষমতার দাপটে সঠিক বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় মূল হোতা বিবাদী সহ স্থানীয় কাউন্সিলর ও কতিপয় আমিনগনের কর্মকান্ডে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবরে প্রকাশ, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানাধীন ১৫ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা জনাব মোঃ খালিদ হোসেন (৪৮) পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তার বাবা মৃত: মোঃ মোস্তফা ৫শতক জমি ক্রয় করে ১৯৯৪সালে। বিবাদী আব্দুল জব্বার (৬০) তাদের পাশের জমির বাসিন্দা। বাদী খালিদ পূর্বেই ৩ফিট জায়গা ছেড়ে দিয়ে দেয়াল তৈরি করেন। পরবর্তীতে বিবাদী দেয়াল তৈরি করতে গেলে জায়গা ছাড়া নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে যথা সময়ে আমিনদের ডাকা হয়। নিয়ম মাফিক প্রত্যেকের জমি থেকে ৩ফিট জমি ছেড়ে দেয়াল তৈরির বিষয়টি মেপে দেখলেই ধরা পড়ে যে বাদী ৩ ফিট জায়গা ছেড়ে থাকলেও বিবাদী নিজস্ব ৩ ফিট জায়গা না ছেড়ে বাদীর ছেড়ে দেওয়া ৩ফিট জায়গা বেদখল করে দেয়াল তৈরি করছে এবং দাপটের সাথে তা অব্যাহত রাখছে। অবস্থা টের পেয়ে বিবাদী পক্ষ নতুন ফঁন্দি এঁটে স্থানীয় কাউন্সিলর তারিক আজিজকে হাত করে। এই বিবাদী, কাউন্সিলর ও তার আমিনদ্বয়ের গোপন যোগসাজশে তৈরি হয় জালিয়াতিচক্র উক্ত একই পরিমাপের ফলাফল পরিবর্তন করতে গিয়ে নানান ষড়যন্ত্রের গোলযোগে পরিমাপের অঙ্কে ভুল করে তৈরি হয় ভুয়া হাত-নক্সা। অর্থ্যাৎ নক্সায় উল্লেখিত ৩৪১০ ও ৩৪১১/৩৪১২ দাগ নং এর প্রস্থের মাপ যথাক্রমে ২৭ ফিট ও ৩৪ ফিটের যোগফল ৬১ ফিটের স্থলে ৭১ ফিট লিখে উক্ত বেদখল ৩ফিট জায়গা বৈধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। যদিও আসল দলিলের পরিমাপ অনুযায়ী তা ৬৮ ফিট হবে। বিবাদী কোন অবস্থাতেই আসল দলিল দেখাতে রাজি নন। বিষয়টি বুঝতে পেড়ে থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ করেন খালিদ। কিন্তু থানা কর্তৃক তলবকৃত বৈঠকে পরপর দুই বার বাদী পক্ষ উপস্থিত থাকলেও বিবাদী পক্ষের আমিন, সাংবাদিক ও কাউন্সিলরের ছায়ার দেখাও মেলেনি। সার্বিক তদন্তে এস আই পলাশ মৌখিক ভাবে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন বলেই খালাস। ঐদিকে দেয়াল তৈরির কাজ মহাধুমধামে সমাপ্ত করে বিবাদী পক্ষ সুুখের বসতি স্থাপন নিশ্চিত করেছে। আর বাদী আজও সঠিক বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।