তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, নিহত হাফিজুর রহমানের রক্তে নেশা দ্রব্য লাইসারজিক অ্যাসিড ডাইইথাইলামাইড বা এলএসডির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হাফিজুর তার এক বন্ধুর কাছ থেকে একাধিকবার এ নেশা সংগ্রহ করে গ্রহণ করেছে।
ডিবি সূত্র বলছে, ঢাবি শিক্ষার্থী হাফিজুরের মামলা তদন্ত করতে গিয়েই পুলিশ এলএসডির তথ্য পায়। এলএসডি ব্যবসা সংশ্লিষ্টতায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ঢাবির প্রয়াত শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে। পুলিশের তদন্তও শেষ পর্যায়ে। তদন্তের সঙ্গে নিহতের দুই বন্ধুর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ওই দুজনকে গ্রেফতার করবে পুলিশ।
৯ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাওয়া যায় হাফিজুরের মরদেহ। তার বড় ভাই হাবিবুর রহমান মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছেলে হাফিজুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি মুকাভিনয় শিল্পী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন-অর-রশীদ জানিয়েছেন, হাফিজুর রাস্তার পাশে ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দা নিয়ে নিজেই নিজের গলায় আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় শহীদ মিনার এলাকায় ঘুরছিল। এরপর ওই এলাকায় টহলরত পুলিশ তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন পুলিশ হাফিজুরের পরিচয় জানতে পারেনি।
শারমিন আক্তার সোমা/গড়াই নিউজ ২৪.কম::