গড়াইনিউজ২৪.কম:: শুল্ক ফাঁকি ও মানি লন্ডারিং আইনে বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হচ্ছে। এর মধ্যে দুইটি মামলা করবে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। আরেকটি মামলা করতে দুদকের কাছে অনুরোধ করবে সংস্থাটি। রবিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ডিজি মইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই কথা জানান। এর আগে তারা মুসা বিন শমসেরকে প্রায় দুই জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মইনুল বলেন, ‘গত ২১ মার্চ শুল্ক গোয়েন্দারা প্রিন্স মুসার বাসা থেকে রেঞ্জ রোভার গাড়িটি জব্দ করে। আমাদের কাছে এই গাড়ির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ ছিল। পরবর্তী সময়ে আমাদের গোয়েন্দারা তদন্ত করে গাড়ি ব্যাপারে বেশ কিছু তথ্য তুলে আনে। তদন্তে দেখা যায় এই গাড়ি আমদানির ব্যাপারে কোনো শর্ত মানা হয়নি। তদন্ত টিম আমাদের কাছে সম্পূর্ণ রিপোর্ট পেশ করলে আমরা তারে বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’ ডিজি বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রমাণিত হয়েছে এতে যথেষ্ট দুর্নীতি হয়েছে। এই গাড়ির ট্যাক্স ছিল দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা। কিন্তু সেই ট্যাক্স দেখানো হয় মাত্র ১৭ লাখ টাকা। এই গাড়ি কেনার ক্ষেত্রের মানি লন্ডারিং হয়েছে। এটি প্রমাণিত।’ মইনুল বলেন, ‘এই গাড়িটি দেশে এসেছিল ছয় মাসের জন্য। ফরিদ কবীর নামে একজন ব্রিটিশ প্রবাসী এই গাড়িটি ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে চলে যান। পরবর্তী সময়ে এই গাড়িটি ভোলার ফারুক-উজ-জামানের নামে রেজিস্ট্রেশন হয়। সেই ঠিকানায় খোঁজ করা হলেও আমরা সেখানে গাড়িটি পাইনি। পরে আমাদের শুল্ক গোয়েন্দা টিম খোঁজ নিয়ে জানতে পারে গাড়িটি ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের নিজেই ব্যবহার করে আসছেন। আটকের দিনও গাড়িটি মুসার গুলশান কার্যালয় থেকে উদ্ধার করা হয়। সেখানে গাড়িটি দেখে বোঝা যায় গাড়িটি তিনি নিয়মিত ব্যবহার করতেন। গাড়িটি রেজিস্ট্রেশনে ভোলা বিআরটিএ কর্মকর্তাদের যোগসাজশ আছে।’ ডিজি বলেন, ‘এসব কিছুর জন্য তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হবে। প্রথমটি করা হবে শুল্ক আইনে। এতে প্রধান আসামি করা হবে প্রিন্স মুসাকে। দ্বিতীয় মামলা করা হবে মানি লন্ডারিংয়ে। এতে আসামি করা হবে ফরিদ কবীরকেও। তৃতীয় মামলা করা হবে দুদক আইনে। আমরা তদন্তের কাগজপত্র হাতে পেলে দুদককে অনুরোধ করবো তার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য।’সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মইনুল বলেন, ‘তিনি আমাদের টিমের কাছে খোলাখুলি আলাপ করেছেন। তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। তারপরেও তার বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য আমরা যথেষ্ট উপাদান পেয়েছি।’প্রায় দুই ঘণ্টা জবানবন্দি দিয়ে বেলা সোয়া পাঁচটায় নিচে নেমে আসেন প্রিন্স মুসা। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্রিন্স মুসা কোনো উত্তর দিতে চাননি। তার নারী দেহরক্ষী জানান, ‘স্যার আজকে অনেক অসুস্থ। তাঁর কথা বলার ভাষা নেই।’একটি প্রেস রিলিজ ধরিয়ে দিয়ে এই নারী দেহরক্ষী বলেন, ‘এই কাগজে সব কথা উল্লেখ রয়েছে। আপনারা কাইন্ডলি এই কাগজটি পড়ে অনেক কথা জানতে পারবেন।’ এই বলে মুসা বিন শমসের স্থান ত্যাগ করেন।
Kushtia
clear sky
29.2
°
C
29.2
°
29.2
°
62%
2kmh
5%
সোম
34
°
মঙ্গল
36
°
বুধ
37
°
বৃহঃ
40
°
শুক্র
41
°