ভাগ্যই শততম টেস্টে গ্লাভস তুলে দিচ্ছে মুশফিকের হাতে

0
1253

গড়াইনিউজ২৪.কম:: এবার কলম্বোয় শততম টেস্টের আগের রাতেও দল সাজানো নিয়ে নানা গুঞ্জন। টিম ম্যানেজমেন্ট তথা কোচ হাথুরুসিংহে খানিক দ্বিধায়। এ দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বাড়লো রাতে লিটন দাসের ইনজুরিতে একাদশ থেকে ছিটকে পড়ার খবরে। শততম টেস্টের আগেও ঠিক অভিষেক টেস্টের আগের রাতের মত অবস্থা। ২০০০ সালের ৯ নভেম্বর প্র্যাকটিস সেশনেও যে সম্ভাব্য লাইনআপ ছিল, তা বদলে গিয়েছিল ম্যাচের আগের রাতের টিম মিটিংয়ে। ইতিহাস যাকে সব সময় বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে জানে এবং জানবেও সেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে খেলাতে চায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। খেলা নিয়ে সংশয় ছিল হাবিবুল বাশারেরও। পরে টিম মিটিংয়ে অধিনায়ক নাঈমুর রহমানের নেয়া কঠোর অবস্থানের কারণে ভাগ্য খোলে আমিনুল ও বাশারের। প্রথম জন সেঞ্চুরি করে নিজের সামর্থ্যকে মেলে ধরেন। আর বাশার হাফ সেঞ্চুরি উপহার দিয়ে অধিনায়কের মুখ রক্ষা করেন। গলেও গরম ছিল। তবে তুলনামুলক ঘাম কম হয় বলে অত অসহনীয় মনে হয় না; কিন্তু কলম্বোয় একেবারে কম্মকাবার হবার জোগাড়। যেমন গরম। তেমন আদ্রতা। ঘাম হয় প্রচণ্ড। দুপুরে এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে; কিন্তু তাতে উত্তাপ কমেনি। বরং গরম বেড়েছে আরও। সে অসহনীয় গরম আর ঘেমে নেয়ে ওঠা কমলো অল্প কিছুক্ষণ আগে; বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটা নাগাদ (কলম্বোয় তখন রাত আটটা)। বেশ তর্জন-গর্জন করে বিদ্যুৎ চমকে এক পশলা ভারী বৃষ্টি হলো। তাতে শীতল কলম্বো। কলম্বোবাসী ভ্যাপসা গরম থেকে খানিক নিস্তার পেলেও বাংলাদেশ শিবিরে আজ রাত আটটা নাগাদই নেমে এসেছে এক অস্বস্তির পরশ। শততম টেস্টের ১২ ঘন্টা আগে ইনজুরিতে ছিটকে পড়েছেন লিটন দাস।  সন্ধ্যার পরই কপাল পোড়া খবর পেয়েছেন এ কিপার কাম মিডল অর্ডার। ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন, গতকাল সোমবার নেটে বুকে বল লেগেছিল লিটনের। বুকের পাঁজরে বলের আঘাতটা শুরুতে তেমন গুরুতর মনে না হলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে ব্যাথা বাড়তে থাকায় এমআরআই করে দেখা গেছে, সমস্যা আছে। চিকিৎসকরা তিন সপ্তাহ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই লিটনের পক্ষে খেলা সম্ভব হবে না।’ এখানেই শেষ নয়। ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের শেষ কথা, ‘এখন তো আর কোন বিকল্প নেই। তাই মুশফিকুর রহীমই কিপিং করবে।’
মুশফিক কিপিং করবে- এখন এটাই নিশ্চিত খবর। এটুকু শুনে মনে হতেই পারে, ভাগ্য পুড়লো লিটন দাসের। আর ইচ্ছে পূরণ মুশফিকুর রহীমের। অনেক আশা নিয়ে শ্রীলঙ্কা আসা লিটনের। কে জানতো শততম টেস্টের আগে গিয়ে বুকে বল লাগবে? তাই আশাহতের বেদনায় দগ্ধ লিটন। মুশফিক মনে মনে নিশ্চয়ই খুশি! দেশ ছাড়ার আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনেও কিপিং চালিয়ে যাবার দৃঢ় সংকল্প ছিল কন্ঠে। শ্রীলঙ্কা আসার পর টিম ম্যানেজমেন্টের চাপেই হোক, কিংবা তাদের পরামর্শেই হোক- কিপিং ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে বসলেন ক্যাপ্টেন। অবশেষে শততম টেস্টের আগের রাতে অতি নাটকীয়ভাবে আবার কিপিংয়ের দায়িত্ব তার কাঁধেই চলে আসলো আবার।