রাজারহাটে তিস্তা নদীর ভাঙন অব্যাহত

0
1133
গড়াইনিউজ২৪.কম:: রাজারহাটে আকস্মিকভাবে তিস্তা নদীর ভাঙনে ম্লান হয়ে গেছে ঈদুল আজহার উত্সব। ভাঙনকবলিত পরিবার ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। আকস্মিকভাবে তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙনে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে বিদ্যানন্দ বাজারসহ তৈয়বখাঁ, চতুরা, রতি, হংসধর, মন্দির ও পাড়ামৌলা গ্রামের শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ডাংরারহাট ও পাড়ামৌলা গ্রামের সহস্রাধিক পরিবারের ঈদের আনন্দ উত্সব তিস্তা নদীর সঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে। তারা চরম উত্কণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। অনেকে বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতের কাজে ব্যাপক অনিয়মের কারণে ব্লক, বালুর বস্তা, কার্পেটিং ধসে নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বাঁধটি হুমকির মুখে রয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, তিন বছর এ কাজ তাদের পর্যবেক্ষণে থাকবে। তৈয়ব খা, চতুরা, রতি, হংসধর, মন্দির ও পাড়ামৌলা গ্রাম এলাকায় নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যানন্দ বাজার ও মসজিদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে ডাংরারহাট আজিজিয়া আলীম মাদ্রাসা, ডাংরারহাট উচ্চ বিদ্যালয়, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানা, নুরানী মাদ্রাসা, কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডাংরারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাঝাপাড়া বালিকা মাদ্রাসা, বিদ্যানন্দ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মসজিদ মন্দির, বেড়িবাঁধ ও ডাংরারহাট হয়ে রাজারহাট পাকা সড়ক। ওই সব এলাকার সহস্রাধিক পরিবার চরম উত্কণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। এ ছাড়া গত কয়েকদিনে তৈয়বখাঁ গ্রামের আ. গনি, আ. হাই, মোস্তফা, ফজল উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, আ. কাদের, মমিনুল ইসলাম, ইউনুছ আলী, নছির উদ্দিন, আইনুল ইসলাম, ইছাহাক, আবুল হোসেন, আবু বক্কর, হক্কানী, আবুল কাশেম, নুরজামাল, হংসধর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, ওসমান আলী, গোপাল চন্দ্র, রমেশ চন্দ্র, আ. রাজ্জাক, মনভোলা, নুর ইসলাম, নুর আলম, উকিল উদ্দিন, ননী গোপাল, আলমগীর, কার্তিক চন্দ্র, নিশিকান্ত, ডাংরারহাট গ্রামের মনতাজ আলী, রাবেয়া বেগম, রফিকুল ইসলামের বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ ছাড়া তৈয়বখাঁ গ্রামের আমিনুল ইসলাম, নুরুল হক জানান, তারা ৫ বার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন।চতুরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, জহর আলী, আব্দুল হাই জানান, শেষ সম্বলটুকুতেই বাড়ি করে আছি। এটুকু গেলে আর কোনো উপায় নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসেম জানান, ভাঙন রোধে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড ডাংরারহাট বাঁধ হয়ে মন্দির আদর্শ গ্রাম পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার চার কোটি ২৪ লাখ ২৩ টাকা ঠেকাতে আরো ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে জলবায়ু প্রকল্পের কাজ আগামীতে শুরু হবে।