দামের আগুনে পুড়ছে বাজার!

0
145

ঢাকা অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: দেশের বাজারে প্রায় সব পণ্যই এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। সর্বশেষ পেঁপের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে ৮০ টাকায় উঠেছে। এ ছাড়া কাঁচামরিচ ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ২০ টাকার আলুর কেজি এখন ৪০ টাকা এবং পেঁয়াজের কেজি ৬৫ টাকায় পৌঁছেছে। অন্যান্য তরিতরকারির দাম ৬০ থেকে ১০০ টাকার ওপরে। অন্যদিকে এক দিনের ব্যবধানে বাজারে খোলা আটা, ময়দা, সয়াবিন তেলের নতুন দাম (১৯৯ টাকা লিটার), পাম অয়েল, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ, আদা ও জিরার দাম বেড়েছে। গরু মাংস ও মুরগির দাম আরও বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েই চলেছে ফার্মের ডিম ও চিনির দাম। ফলে বাজারে গিয়ে দিশেহারা হচ্ছেন ক্রেতারা। সরকারি চাকরিজীবী মো. বাহার উদ্দিন। পরিবার গ্রামের বাড়িতে থাকে। ঢাকায় মেসের বাজার করতে মালিবাগ রেলগেট বাজারে এসেছেন। বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি কালবেলাকে জানান, সব পণ্যের দাম বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম সবচেয়ে বেশি বাড়ছে। যেজন্য দৈনন্দিনের চাহিদা কাটছাঁট করে খাদ্যব্যয় মেটাতে হচ্ছে। এক কথায় সাধারণ চাকরিজীবীদের জন্য অনেক কঠিন। কয়েকটি বাজার ঘুরে বাহার উদ্দিনের কথার সত্যতা পাওয়া গেছে। গতকাল ঢাকায় প্রতি কেজি খোলা আটা ২ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায়, ৩ টাকা বেড়ে খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। ৩০ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়।

close

৯০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে দেশি আদার দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, যা সোমবার বিক্রি হয়েছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়। আমদানি আদার কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে ২৫০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৬৫০ টাকার জিরা ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকায় পৌঁছেছে। এক দিনের ব্যবধানে দেশি মুরগির কেজি সাড়ে ৫শ টাকা থেকে এক লাফে ৭৫০ টাকায় উঠেছে। ফার্মের ডিমের হালি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সপ্তাহ পূর্বে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। তরকারির মধ্যে প্রতি কেজি বেগুন, পটোল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। ঝিঙে, ধুন্দুল, করলা, কাঁকরোল, বরবটি, চিচিংগা ৮০ থেকে ১শ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তরকারির দাম বাড়ার বিষয়ে নিউমার্কেট বনলতা কাঁচাবাজারের দোকানি মনির হোসেন জানান, খরা মৌসুমের শাকসবজি উৎপাদন কম থাকায় বাজারে ঘাটতি থাকে। যেজন্য পাইকারি বাজারে দাম বাড়ছে। যে পেঁপের পাল্লা বা ৫ কেজি ৭০ থেকে ৯০ টাকায় কিনেছি। গত কয়েকদিন থেকে আড়াইশ থেকে ৩শ টাকায় পাল্লা কিনতে হচ্ছে। যখন কমে কিনেছি তখন তো ৮০ টাকায় বিক্রি করিনি। এখন আমরা কি কর? বেশি দামে কিনে তো কম দামে বিক্রি করতে পারব না। আমাদেরও বেশি পুঁজি খাটাতে হচ্ছে।