কিশোরের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই : মেডিকেল বোর্ড

0
416

জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়ন্তী,গড়াইনিউজ ২৪.কম: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ ১০ মাস কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর। গ্রেপ্তারের পর তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ঠিকমতো হাঁটার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলেন কিশোর। তবে আদালতের নির্দেশে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বলছে, তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আজ রোববার (৬ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। কারাগার থেকে বেরুনোর পর কিশোরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করার মাধ্যমে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন আদালত। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডে ছিলেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজের নাক-কান-গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমী, অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ফখরুল আমিন খান ও মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. হাফিজ সর্দার। জমা দেওয়া প্রতিবেদনে তারা নির্যাতনের চিহ্ন না পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। এমন প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কিশোরের বড় ভাই আহসান কবির। তবে গত মার্চের শুরুর দিকে কিশোরের জামিনের পর বলেছিলেন, আমার ভাইয়ের কানে প্রচণ্ড জোরে আঘাত করা হয়েছে। কান দিয়ে পুঁজ গলে পড়ছে। কানের পর্দায় গর্তের মতো হয়ে গেছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বিশেষ ধরনের হিয়ারিং এইড বসাতে হচ্ছে। সম্প্রতি কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন লেখক মুশতাক। সেখানে একসঙ্গেই ছিলেন কিশোর। মুশতাকের মৃত্যুতে দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর গত ৩ মার্চ জামিন দেওয়া হয় কিশোরকে। ফেসবুকে করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো এবং জাতির জনকের প্রতিকৃতি, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকাকে অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে।