কুষ্টিয়া অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার পৌরসভার রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার বিরুদ্ধে। কুমারখালী পৌরসভার তেবাড়ীয়া সেরকান্দির ঝাউতলা থেকে আমতলা মোড় পর্যন্ত পাকা রাস্তার কাজে নিম্ন মানের কাজ পরিলক্ষিত হয়েছে। টেককোট না করে এবং পরিমাণ মত বিটুমিন না দিয়ে সিলকোট করা কারনে মানুষের পায়ের চাপে রাস্তার জায়গায় জায়গায় সিলকোট উঠে যাচ্ছে। এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেছেন যে, রাস্তার কাজ সঠিক ভাবে করা হচ্ছে না। রাস্তাার কাজের মধ্যে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি রয়েছে, যার মধ্যে নামে মাত্র বিটুমিন ও নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ চলছে। এলাকার সুশীল সমাজ ও সাধারন মানুষজন অভিযোগ করে বলেছেন যে, এই রাস্তার কাজ ভালো ভাবে করা হচ্ছে না। এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন, যাতে সঠিক নিয়মে রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে দীর্ঘস্থায়ীভাবে জনদুর্ভোগ এড়াতে রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভালো ভাবে রাস্তার কাজ না হওয়ায় এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এই ভাবে কাজ করে লাভ কি এই বর্ষায় রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে বলে অনেকে আশংখা প্রকাশ করেছেন। উক্ত পাকা রাস্তায় বিটুমিন ও পাথর সঠিক ভাবে দেওয়া হচ্ছে না ও মিশ্রন দায়সারা কাজ করছে। বিটুমিন ও পাথর ঠিক মত হিট করানো হচ্ছে না যার ফলে দোলা বেধে উঠে যাচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন। উক্ত রাস্তার কাজের ঠিকাদার ওমর কাজটি কোন মত দায়সারা ভাবে শেষ করার জন্য তাড়াহুড়া করছেন এমনটাই অভিযোগ করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। রাস্তার কাজ চলা অবস্থায় কাজের কাছে থাকা কুমারখালী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আকরামুজ্জামান কে নিম্নমানের কাজের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি এই কাজের বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে পারবো না বলে তিনি ঠিকাদারের পক্ষ নেয় পরে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়লে তিনি মটর সাইকেল চালিয়ে এলাকা ত্যাগ করেন। কুমারখালী পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলীর সাথে সাক্ষাৎ করে কয় কিলোমিটার কাজ এবং বরাদ্দ পরিমাণ সহ কাজের অনন্য কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন আমি মেয়র সাহেবের অনুমতি ছাড়া আপনাদের কাজের কোন কাগজপত্র বা কোন তথ্য দিতে পারবো না । কুমারখালী পৌরসভার মেয়র সামছুজ্জামান অরুন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন এই কাজটি গত অর্থ বছরের কাজ ঢাকার অফিসের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা এসে ঠিকাদারের কাজের অনিয়ম পায়। সেই কারনে তাকে কাজের বিল দেওয়া হয়নি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় সিডিউল অনুযায়ী কাজ করে গড়ে ৭ মিলি সিলকোট করে বিল নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাস্তা নির্মাণ কাজে অফিসের কোন তদারকি নেই কেন প্রশ্ন করলে মেয়র কৌশলে তা এড়িয়ে যায়। সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার তাগিদে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছেন কুমারখালী পৌর এলাকার সর্বস্তরের জনগন।
Kushtia
overcast clouds
30.7
°
C
30.7
°
30.7
°
70%
2.8kmh
95%
শনি
30
°
রবি
30
°
সোম
30
°
মঙ্গল
32
°
বুধ
31
°