ঈশ্বরদী বাজারে মেশিনে তৈরি স্বাদহীন চাল বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে

0
3522

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা ॥  ঈশ্বরদী বাজারে হরহামেশা বিক্রি হচ্ছে স্বাদহীন মেশিনে তৈরি চাল। এই সব মেশিনে তৈরী চাল কিনেও ক্রেতারা পড়েছে বিপাকে। বস্তা ভর্তি চাল খুব দ্রূত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে ক্রেতারা প্রায় সময় বিক্রেতাদের কাছে অভিযোগ করলেও ক্রেতাদের তারা তুচ্ছ মনে করছে। বিক্রেতাদের রাগান্বিত কন্ঠে সাফ জবাব চকচকে দেখেইতো চাল কিনলেন-আমরা তো আর বস্তার ভিতরে ঢুকিনি। দুই-এক টাকা বেশি দামে ধবধবে সাদা মরা চাল বা ময়লা না থাকার কারণে ক্রেতারা এই চাল বেশি কিনছেন।
অভিযোগের সুত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈশ্বরদীর পাশ্ববর্তী জেলা কুষ্টিয়ার খাঁজা নগরে প্রতিদিন ঈশ্বরদী জয়নগরের মোকাম থেকে হাজার হাজার বস্তা ইরি চাল যাচ্ছে অটোমেটিক রাইচ মিল গুলোতে। অত্যাধুনিক মেশিনের কল্যানে মোটা চাল হয়ে যায় সরু চাল। পালিশ করার কারণে চালের রংও হয়ে যাচ্ছে একেবারে ধবধবে সাদা। মেশিনে পালিশ হওয়া চাল বাজারে বিক্রি হলেও ক্রেতাদের বোঝার কোন উপায় নেই কোনটা আসল কোনটা নকল চাল। দোকানীরা এই মোটা ইরি চালের নাম পাল্টে হরহামেশা মিনিকেট নামে বিক্রি করছে। চাল কেনার সময় খালি চোখে বোঝা না গেলেও রান্নার পর খাওয়ার সময় বোঝা যায় চালের আসল স্বাদ। পালিশ করা চালের ঁেছটে ফেলা অংশও চড়া মূলে বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাছ ও মুরগীর খাদ্র এবং রাইস ব্যান্ড তেল তৈরীর উপকরণ হিসেবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা ধান-চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মজিবর রহমান মোল্লা অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা শত বস্তা চিকন চালের সাথে ৫ থেকে ১০ বস্তা মোটা চাল মিশিয়ে বিক্রি করতে পারে। চালকে প্রসেস করা যায়। তবে ঈশ্বরদীতে মোটা চাল সরু করার কোন মেশিন নেই। ঈশ্বরদীতে অটোমেটিক মেশিনে চালের পাথর, খুদ, মাছি, কালো দানা ও লাল দানা বাছাই করা হয়। মোটা চালকে সুরু করার প্রশ্নই উঠেনা।