ফারাক্কার কারণে পদ্মার পানি বৃদ্ধির হওয়ায় ঈশ্বরদীতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি!

0
2000

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা:: ফারাক্কা বাঁধের সবগুলো গেট খুলে দেয়ায় ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীর পানি বিপদ সীমা ছুই ছুই করলেও এই উপজেলার প্রায় তিন হাজার কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে এই উপজেলার তিন ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার সবজি ক্ষেত এখন পানির নিচে। ইউনিয়ন তিনটির মধ্যে সাঁড়া ও পাকশী ইউনিয়নে শতাধিক হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেলেও লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের ২৬টি মোজার মধ্যে ২০টি মোজাই পানিতে তলিয়ে গেছে।
এই ইউনিয়নের কামালপুর, বিলকেদার চরকুড়–লিয়া দাদাপুরসহ কয়েকটি গ্রামে শতকরা ৭৫ ভাগ ফসলই পানিতে ডুবে গেছে। এই সব গ্রামে ও পদ্মা নদীর চরে বেগুন, করলা, গাজর, চালকুমড়া, কঁচামরিচ, শশা আউস ধান, আখ এবং শীতকালীন আগাম সবজি ফুলকপির মাঠ বিলিন হয়ে গেছে পানির তলে। উপজেলা কৃষি অফিসের প্রাথমিক হিসাব মতে এই ইউনিয়নের দুই থেকে ৩’শ হেক্টর জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে, এতে টাকার অংকে ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকার বেশি।
লক্ষিকুন্ডা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হক মোল্লা জানান, এই ইউনিয়নটি পদ্মা নদীর কাছাকাছি হওয়ায় নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে হাজার হাজার কৃষকের একমাত্র অবলম্বন কৃষি আবাদে ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকশত কৃষকের সকল আবাদী জমির ফসল শতভাগ বিনষ্ট হয়ে তাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মাস কলাই শীতকালীন আগাম জাতের শাক সবজির সর্বনাশ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এবার শীতকালীন সবজির বাজারও এই ক্ষতির প্রভাব পড়বে। এদিকে পাকশী ইউনিয়নের রুপপুর এলাকায় পানি প্রবেশ করায় নিুাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রওশন জামাল জানান, ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে মাসকলাই ও ডাল জাতীয় ফসলের শকতরা ৫০ ভাগ এবং অন্য সবজি ও সব ধরনের ফসলের যে ক্ষতি এবার হয়েছে তা পুসিয়ে নিতে অনেক সময় লাগবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাহিদ নেওয়াজ জানান, ক্ষতিগ্রহস্থ কৃষকদের তালিকা করে তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমরা সরকারি ভাবে চেষ্টা করবো।