বন্যা ও তাপপ্রবাহের দাপট মাসজুড়ে চলবে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়

0
425

জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়ন্তী,গড়াইনিউজ ২৪.কম : ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর এবার চলতি জুন মাসজুড়েই দাপট দেখাবে একাধিক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও তাপপ্রবাহ। এ মাসেই বঙ্গোপসাগরে একাধিক গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সাথে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এ দিকে, কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে যোগ হতে পারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত। ফলে আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনাও রয়েছে। এছাড়া দেশের কয়েকটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ। গত এক মাসের আবহাওয়ার পর্যালোচনার পাশাপাশি আগামী এক মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বুধবার (২ জুন) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শ ম সজিব হোসেন জানান, প্রতি মাসের শুরুতে পরিচালকের সভাপতিত্বে বিশেষজ্ঞ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার অধিদপ্তরের পরিচালক সামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে একাধিক ঘূর্ণিঝড়সহ বন্যা ও তাপপ্রবাহের তথ্য উঠে আসে। সভায় জানানো হয়, মে মাসে স্বাভাবিক অপেক্ষা ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটি সারা দেশের গড় হিসাব। কিন্তু রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি এবং খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ দিকে, জুন মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মাসের শুরুতে সারাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। প্রতি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত পরিমাপ একেক বিভাগে একেক রকম হয়। জুনে ঢাকা বিভাগে ৩৫৬ মিলিলিটার, ময়মনসিংহে ৪৩২ মিলিলিটার, চট্টগ্রামে ৫৮৯ মিলিলিটার, সিলেটে ৬৩৪ মিলিলিটার, রংপুরে ৩৮৯ মিলিলিটার, খুলনাতে ২৯৬ মিলিলিটার, বরিশালে ৪৮৩ মিলিলিটার স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হিসেবে ধরা হয়েছে। সভায় আরও জানানো হয়, জুন মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে একটি নিম্নচাপ অথবা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ফলে উত্তর-মধ্য অঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন মাঝারি অথবা তীব্র বজ্রঝড় ও দেশের অন্যান্য জায়গায় তিন থেকে চারদিন হালকা অথবা মাঝারি বজ্রঝড় হতে পারে। এর পাশাপাশি দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। এ মাসে একটি মৃদু অর্থাৎ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের অথবা মাঝারি ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও সভায় জানানো হয়েছে।