
গড়াইনিউজ২৪.কম:: কুষ্টিয়ার সুযোগ্য জেলা প্রশাষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি………! কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সুনামধন্য কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সুনাম নষ্ট হতে চলেছে কিছু অসাধু শিক্ষকদের দূর্নীতির কারনে। সূত্র মতে জানা যায়, ছাত্রদের সরলতার সুযোগ নিয়ে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের ‘কম্পিউটার’ খাতে জনপ্রতি ২০ টাকা হারে নেয়া হলেও ক্লাস হয়না দিনের পর দিন! কিন্তু বেশ কয়েকজন ছাত্রের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এইসব ছাত্র গত তিন বছরে একবার মাত্র কম্পিউটার ল্যাবে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে, তাও আবার কম্পিউটার হতে অনেক দূরে বসিয়ে ক্লাস করানো হয়েছে, কাউকে স্পর্শ পর্যন্ত করতে দেয়া হয় নি! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্র দের কাছে আইসিটি ক্লাসটি কম্পিউটার ও প্রজেক্টরের সাহায্যে করানো হয় কি না? জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, গত এক বছরে একটি বারই কেবল তারা প্রজেক্টরের চেহারা দেখেছে! অথচ বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের ২৫০০ শিক্ষার্থীর নিকট হতে জনপ্রতি ২০ টাকা হারে মাসে ৫০ হাজার টাকা, অর্থাৎ বছরে ৬ লক্ষ টাকা নেয়া হচ্ছে যা দিয়ে কমপক্ষে ২০টি কম্পিউটার এবং ১৬টি প্রজেক্টর কেনা সম্ভব! সরকারি স্কুলগুলোতে কম্পিউটার ল্যাব এর অর্থায়ন সরকারিভাবে বা বিভিন্ন প্রজেক্ট এর মাধ্যমে করা হয়! সুতরাং, কম্পিউটার ল্যাব তৈরির জন্য অভিভাবকদের নিকট হতে টাকা নেয়ার প্রয়োজনই আসে না! কিন্তু অভিভাবকদের প্রশ্ন, তাহলে টাকাটা যাচ্ছে কোথায়?? অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, জুলাই মাস হতে অতিরিক্ত ২০ টাকা করে ‘সেশন চার্জ’ খাতে নেয়া হচ্ছে! কিন্তু, মাসে মাসে তো আর সেশন চার্জ হয় না; তাই সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্কুলের নাইট গার্ড ও পিয়নের বেতন বাবদ টাকাটা নেয়া হচ্ছে! সরকারি স্কুলের স্টাফ তো যথাযথ নিয়ম মেনেই নিয়োগপ্রাপ্ত হয় বলে সবাই জানে, সে ক্ষেত্রে তার বেতন তো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তোলার কথা না! যদি মেনে নিলাম, তবুও প্রশ্ন থেকে যায় যে, আড়াই হাজার ছাত্র বিশ টাকা করে দিলে মাসে ৫০ হাজার টাকা হয়, পিয়ন ও নাইট গার্ডের মাসিক বেতন তাহলে কি ৫০ হাজার টাকা? এভাবে এ খাত হতেও একইভাবে বছরে ৬ লক্ষ টাকা আদায়ের প্রক্রিয়া করা হয়েছে! তাই সচেতন অভিভাবক মহলের প্রশ্ন, কুষ্টিয়া জিলা স্কুল দুটি ‘অহেতুক’ খাতে বছরে কমপক্ষে ১২ লক্ষ টাকা অভিভাবকদের কাছ থেকে আদায় করছে; এ টাকাটা যাচ্ছে কোথায়? টাকাটা খরচের তো প্রকৃতপক্ষে কোনো খাত নেই, তাহলে এ পুরো ১২ লক্ষ টাকা আসলে কোন কোন ব্যাঙ্ক একাউন্টে জমা হচ্ছে?? তাই সুযোগ্য জেলা প্রশাষক সহ সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।