টঙ্গীতে বয়লার বিস্ফোরণ, নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনদের আহাজারি

0
2082
গড়াইনিউজ২৪.কম:: টঙ্গীর টাম্পাকো ফয়েলস লি: এ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত শ্রমিক ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের আহাজারিতে টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল প্রাঙ্গণ। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার পর থেকে একের পর এক এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সাভির্সের পরিবহনযোগে হাসপাতালে আসতে থাকে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ব্যাক্তিদের লাশ। অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ শুনে চিত্কার দিয়ে ওঠেন নিখোঁজ রিকশা চালক রাশেদের (২৮) বোন ফারজানা, কিশোরগঞ্জ জেলার হেসেনপুর থানা এলাকার বাসিন্দা নিখোঁজ রফিকুল ইসলামের (২৫) স্ত্রী নার্গিস আক্তার, সিরাজগঞ্জ জেলার সাহাদাতপুর থানার নিখোঁজ ইসমাইল হোসেনের (২৩) ভাই রফিকুল ইসলাম, টঙ্গীর গোপালপুর এলাকার নিখোঁজ আনিছের (৩০) বাবা সুলতান হোসেন, নিখোজঁ মাইনউদ্দিনের ভাতিজি সুলতানা ও ভগ্নিপতি মোস্তফা। অন্যদিকে অগ্নিদদ্ধ হয়ে নিহত পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া থানা এলাকার বাসিন্দা ইনসান আলির ছেলে আল মামুনের (৩০) স্ত্রী খাদিজা, রংপুর জেলার ভুরঙ্গমারী থানার নিজাম উদ্দিনের ছেলে মৃত ইদ্রিস আলীর (২৭) বোন সাবিনাসহ স্বজনদের আহাজারিতে টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকা ভারি হয়ে ওঠে। নিখোঁজ রাশেদের বোন ফারজানা কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, তার ভাই রাশেদ ভোর রাতে রিকশা নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় তার পর থেকে তাকে আর খুজেঁ পাওয়া যায়নি। টঙ্গী বিসিক এলাকায় অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে তিনি সেখানে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে রাশেদের বন্ধু খালেকের কাছে জানতে পারে রাশেদ রিকশা নিয়ে ঐ পথ দিয়ে যাওয়ার সময় বয়লার বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে আর খুজেঁ পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে নিহত আল মামুনের স্ত্রী জানায়, তার স্বামী রাতের ডিউটি শেষে কারখানা থেকে বেতন তুলে সপরিবারে আজ গ্রামের বাড়িতে ঈদ পালন করতে যাওয়ার কথা ছিল। এখন স্বামীর লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে।