কুষ্টিয়ায় আকবর ডায়াগনষ্টিক এন্ড ক্লিনিক ভুল চিকিৎসার কারখানা!

0
2335
কুষ্টিয়ায় আকবর ডায়াগনষ্টিক এন্ড ক্লিনিক ভুল চিকিৎসার কারখানা! ছবি: গড়াইনিউজ২৪.কম

কুষ্টিয়া অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম:: কুষ্টিয়া পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কালিশংকরপুরের আকবর ডায়াগনষ্টিক এন্ড ক্লিনিকের ভুল চিকিৎসায় বর্তমানে রেহেনা নামের এক রোগী কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের মধুপাড়া গ্রামের সবুজের স্ত্রী রেহেনা (২৩) বাচ্চা প্রশবের জন্য গত ০৯/১০/২০১৯তারিখ বুধবারে কুষ্টিয়ার আকবর ডায়াগনষ্টিক এন্ড ক্লিনিকে ভর্তি হয় দালালদের মাধ্যমে। কিন্তু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের ভুল অপারেশন করার কারনে ভুক্তভোগী রেহেনা মৃত ছেলে সন্তান প্রশব করে। অপারেশন শেষে রেহেনার অতিরিক্ত রক্তক্ষরন শরু হলে তার শরীরে রক্ত লাগবে বলে জানায় আকবর ডায়াগনষ্টিক এন্ড ক্লিনিকের কথিত চিকিৎসক ও অফিসের লোকজন। পরবর্র্তীতে ভুক্তভোগী রোগী রেহেনার ভুয়া রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তারা বলে রেহেনার বি পজেটিভ রক্ত লাগবে। গ্রামের সহজ সরল মানুষ তাদেরকে দেবতার মত বিশ্বাস করে এবং রেহেনাকে বাচাঁনোর জন্য বি পজেটিভ ২ব্যাগ রক্ত যোগাড় করে। এক পর্যায়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রেহেনার শরীরে ২ ব্যাগ বি পজেটিভ রক্ত পুষ করেন। এতে ভুক্তভোগী রোগী রেহেনার অবস্থা আরো বেগতিক হলে তারা পরিবারের অন্য সদস্য রোগীর দেবর রানাকে জানালে তিনি বলেন, রেহেনার তো রক্তের গ্রæপ এ পজেটিভ আমি সেদিন রক্ত দিলাম, কিন্তু আকবর ডায়াগনষ্টিক এন্ড ক্লিনিকের লোকজন কিভাবে বি পজেটিভ রক্ত শরীরে পুষ করলো। এই বিষয়টা নিয়ে যখন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয় তখন তারা আমতা আমতা শুরু করে। বাগ বিতন্ডার এক পর্যায়ে ক্লিনিক কর্র্তৃপক্ষ তাদের ভুল শিকার করে বলে, আমাদের রক্ত গ্রæপিং ভুল হয়েছে এ জন্য আমরা দুঃখিত। আপনারা রেহেনার উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান যা খরচপত্র লাগে আমরা দিব। ক্লিনিক এর মালিক নাসিমের কাছে রক্ত গ্রæপিং এর কাগজ ও অন্যান্য ছাড়পত্র চাইলে তিনি সেগুলো দিতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এগুলো দেয়া যাবেনা খরচ যা হয় আমরা দেখব। পরবর্তীতে রেহেনাকে আকবর ডায়াগনষ্টিক এন্ড ক্লিনিক থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে, রেহেনা আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তিন নং ওয়ার্ডে ডাঃ মুসা করীরের তত্তাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রেহেনার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, রেহেনার শরীরে অন্য গ্রæপের রক্ত দেয়া হয়েছে এ জন্য তার অবস্থা খুব খারাপ। সাধারনত, এ ধরনরে আশংকাজনক রোগীর বাচাঁর সম্ভাবনা খুবই কম থাকে আর বেচেঁ থাকলেও কিডনি ও লাঞ্চে ইনফেকশন দেখা দেয়। ভুক্তভোগী রেহেনার পরিবার জানাই রেহেনার কিডনিতে সমস্যা হয়ে গেছে এর দ্বায়ভার এখন কে নেবে? এটা কি ভুল নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে মেরে ফেলার অপচেষ্টা? এখন সবাই বলছে এটা কি ক্লিনিক নাকি ঠান্ডা মাথায় মানুষ মারার কারখানা! এ ব্যাপারে আকবর ডায়াগনষ্টিক এন্ড ক্লিনিকের মালিক নাসিমের সাথে কথা বললে তিনি শিকার করতে রাজি হননি, পরে আমাদের প্রতিবেদকে প্রশ্নের মুখে তিনি সবকিছু শিকার করতে বাধ্য হন। বলেন, আমাদের একটি ভুল হয়েছে আমরা রেহনার বিষয়টা দেখবো।
চলমান………