মুক্তিযোদ্ধা স্বামীর সহায়-সম্পদ হারিয়ে মুক্তিযোদ্ধার প্রতিভাময়ী স্ত্রী ও সন্তানের মানবেতর জীবন যাপন!

0
2195

গড়াইনিউজ২৪.কম:: দেশ স্বাধীনের স্বপ্ন নিয়ে ১৯৭১ সালে এম এ মতিন খান রাজ্জাক ওরফে রেজ্জা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দিয়ে স্বাধীন সবুজ পতাকা হাতে নিয়ে যুদ্ধ শেষে দেশ স্বাধীন করে বাংলাদেশকে হানাদার মুক্ত করলেও তার মৃত্যুর পরপরই তার স্ত্রী-সন্তান কে নায্য অধিকার রক্ষা করে যেতে পারেন নি। মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মতিন খান রাজ্জাক এর ভূমি সম্পদ ও বসত ভিটা স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল নিয়েছে বলে জানা যায়। দেশের টানে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে বিজয়ী হলেও, জীবনযুদ্ধে পরাজিত এক সৈনিকের নাম মরহুম এম এ মতিন খান রাজ্জাক ওরফে রেজ্জা। বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মতিন খান রাজ্জাক ওরফে রেজ্জা ২০০৩ সালে ঢাকায় কঠিন রোগে মৃত্যু বরণ করেন। স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও মুক্তিযোদ্ধারা পাচ্ছেনা তাদের নায্য অধিকার, পাচ্ছেনা পরিমান মতো তাদের পরিববার নাগরিক সুযোগ সুবিধা, বর্তমান সরকার ব্যাপক সাহায্য সহযোগিতার চেষ্টা করেও সফল হতে পারছেনা সঠিক মুক্তিযোদ্ধার পরিবারবর্গদের রক্ষনাবেক্ষণের চেষ্টা। জনাব এম এ মতিন খান রাজ্জাক পাবনা জেলার শিবরামপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একজন। তার জম্ম ১৯৪৯ সালে যদিও তিনি একাধারে ভালো ফুটবলার ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসাবে বেশ পরিচিত ছিলেন পাবনা জেলায়। পাবনার এক বিখ্যাত ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এডরুক লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মরহুম আব্দুল হামিদ খানের ছেলে পিপ ম্যানুফ্যাকচারিং কেমিষ্ট এর উত্তরাধিকারী ও পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মতিন খান রাজ্জাক ওরফে রেজ্জার গর্বিত স্ত্রী এক প্রতিভাময়ী নারী জিনিয়া খান। বাংলাদেশী অনলাইন নিউজ পোর্টাল গড়াইনিউজ২৪.কমের সাথে আলাপকালে জানা যায় তার এই করুন কাহিনী, প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার সহায় সম্পদ আজ প্রভাবশালীদের দখলে নেয়ায় বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে জানা যায়। বর্তমানে তার প্রতিভাময়ী বিধবা স্ত্রী ও এক ছেলে কঠিন মানবেতর জীবন যাপন করেছেন মুক্তিযোদ্ধার রেখে যাওয়া সম্পদ হারিয়ে। অন্যদিকে প্রতিভাময়ী নারী জিনিয়া খান ‘‘সততা, কর্মস্পৃহা, আত্মসচেতনতা, নিজ প্রতিভা একজন নারীকে উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত করার দৃঢ় চেষ্টায় এখনো অটল যেহেতু মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বলে কথা। নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার জন্য একজন নারীকে হতে হয় দৃঢ় প্রত্যয়ী। পথ চলতে হয় সতর্কতার সাথে। নিজস্ব বুদ্ধি মত্তা দিয়ে জীবনের জটিলতা গুলো কাটিয়ে ওঠতে হয়, অতিক্রম করতে হয় বাঁধার প্রাচীর। আর সেটাই তিনি দেখিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত, আজকে যার নিজের স্বামীর বাড়িতে সোনার পালংকে ঘুমানোর কথা, কিন্ত সে কিনা আজ ভাড়া বাড়িতে মেঝেতে বসবাস করছে। পিপ ম্যানুফেকচ্যারিং কেমিষ্ট এর উত্তাধিকারী ও পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মতিন খান রাজ্জাকের গর্বিত স্ত্রী একমাত্র পুত্র সন্তানের জননী জিনিয়া। একজন বহুমুখী প্রতিভাময়ী নারী ও কণ্ঠ শিল্পী হিসেবে জিনিয়া খান বিশেষ ভাবে পরিচিত। মেধাবী ও প্রতিভাময়ী জিনিয়া খান সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়া জেলার মেয়ে বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের স্ত্রী হিসাবে প্রতিভাময়ী এই কন্ঠশিল্পী। জিনিয়া একজন আদর্শ গৃহিনী। জিনিয়া নারীদের অহংকার, জিনিয়া আমাদের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সকলের অহংকার। কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হয়েও এই গুণী নারী জিনিয়া খান নানা কারণে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানালেন তিনি নিজেই। একটি স্বার্থান্বেষী মহল আজ জিনিয়ার জীবনকে বিষিয়ে তোলেছে। সহায় সম্পত্তি থেকে তাকে বঞ্চিত করার জন্য একটি মহল আজ তৎপর হয়ে উঠেছে। ইতিপূর্বেই এই মহলটি দখল করে নিয়েছে তার ব্যবসা ও সহায় সম্পত্তি। তাকে ব্যবসার সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত করে নিচ্ছে সব টাকা পয়সা। অর্থ সংকটে আজ এই মহিয়ষী নারীর জীবন আজ বিপন্ন হয়ে উঠেছে। এমনিবস্থায় জিনিয়া খান সরকার ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসাবে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে সহযোগিতার হাত বাড়াতে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতা কামনা করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মতিন খান রাজ্জাক ওরফে রেজ্জার স্ত্রী জিনিয়া খান ও তাদের এতমাত্র পুত্র সন্তান তানজিল রাব্বী খান।