কুষ্টিয়ার পান যাচ্ছে দেশে বিদেশে

0
1949

কুষ্টিয়া অফিস: গড়াইনিউজ২৪.কম:: কুষ্টিয়ার পান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে দেশে-বিদেশে। পান চাষিরা মনে করেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পান চাষে আরও বেশি আগ্রহী হবেন চাষিরা। কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভুতি ভূষণ সরকার বলেন, ‘এখানকার পান ইতোমধ্যে ইউরোপ গেছে। এখন মধ্যপ্রাচ্যে রফতানি হচ্ছে। কুষ্টিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের পান রফতানি করা হয়। এরমধ্যে মিষ্টি পান, বাংলা পান ও সাচি পান অন্যতম। রফতানির জন্য কুষ্টিয়া সদর, মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পান বেশি রফতানি হয়।’ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের আলামপুর গ্রামের পান চাষী জাহাঙ্গীর আলম জানান, এখানে প্রায় চারশত একর জমিতে পানের বরজ রয়েছে। পান মূলত কার্তিক মাসের শেষে লাগানো হয়। ছয় মাস পর থেকে পান বিক্রি করা যায়। বিঘাপ্রতি খরচ এক লাখ টাকার উপরে। তবে এখান থেকে আয় হয় প্রায় তিন লাখ টাকার বেশি। এখানকার উৎপাদিত পান বিদেশে রফতানি হয়। তাছাড়াাও ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে এই পান যায়।  একই গ্রামের আখতার হোসেন বলেন, ‘এইখানের পান সারা দেশ ছাড়াও সৌদি, দুবাই, কাতার, আবুধাবি ও পাকিস্থানে রফতানি হয়। আমাদের থেকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা বিত্তিপাড়া বাজার থেকে ক্রয় করে নিয়ে গিয়ে তা বিদেশে রফতানি করে। বিদেশে রফতানি পানগুলোর বিশেষ যতœ নিয়ে আবাদ করা হয়। পানের জন্য মাটিতে সার, কীটনাশক দেওয়া লাগে। সরকার পান চাষিদের ভর্তুকি এবং সহজ শর্তে ঋণ দিলে চাষিরা আরও অনেক বেশি আগ্রহী হতো।’  পান ব্যবসায়ী মফিজ বলেন, ‘চাষিরা বরজ থেকে পান সংগ্রহ করে স্থানীয় হাটে তোলেন। এরপর বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এখানে এসে পান কিনে নিয়ে যায়। এসব পান রাজধানী ঢাকাসহ বিদেশেও রফতানি হয়।’ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, এবার পান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি। তবে আবাদ হয়েছে ২ হাজার ১৬৫ হেক্টর। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৬২০ হেক্টর, খোকসা উপজেলায় ৭০ হেক্টর, কুমারখালী উপজেলায় ২০ হেক্টর, মিরপুর উপজেলায় ২০৫ হেক্টর, ভেড়ামারা উপজেলায় ৭৫০ হেক্টর এবং দৌলতপুর উপজেলায় ৫০০ হেক্টর পান চাষ হয়েছে।