এখন আনন্দ মিছিলের সময় নয়, দেশ গঠনের : শেখ হাসিনা

0
1961
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

গড়াইনিউজ২৪.কম:: আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন আনন্দ মিছিল করার সময় নয়, দেশ গঠনের সময়। কোনো জায়গায় কেউ আনন্দ মিছিল করবেন না। রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে এই কথা বলেন।

এইচ টি ইমাম বলেন, নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল পাওয়ার আগ পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা নিজ নিজ অবস্থান ত্যাগ করবেন না। ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ফল ঘোষণা না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভোটকেন্দ্রে থাকবেন। তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও সহিংসতা উপেক্ষা করে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ভোট দিয়েছেন।  বিদেশি পর্যবেক্ষক সংস্থা এনফ্রেলকে দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে এইচ টি ইমাম বলেন, এনফ্রেল নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন নিয়ে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা নির্বাচন কমিশনকে সরকার নিয়ন্ত্রিত ও অনিরপেক্ষ হিসেবে উল্লেখ করেছে। ইসির অধীনে পর্যবেক্ষণ করে সেই সংস্থার বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য অত্যন্ত আপত্তিকর। তাদের প্রতিটি পাতায় আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্র সম্পর্কে যেসব উক্তি, সেগুলো দেশদ্রোহমূলক। এই এনফ্রেলের পেছনে বড় বড় শক্তি কাজ করে। এ সময় তিনি অধিকারের আদিলুর রহমানের প্রসঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁর অতীত ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।  এইচ টি ইমাম বলেন, এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। যদিও কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত সহিংসতা হয়েছে। এসব সহিংসতায় আক্রান্ত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। বিএনপি-জামায়াতের আক্রমণে ১২ জেলায় দলের ১৩ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। আজকের সহিংসতায় বিএনপি-জামায়াতের আক্রমণে দুই আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে।

সহিংসতা কম হয়েছে উল্লেখ করে এইচ টি ইমাম বলেন, এবারের নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা তুলনামূলক কম ঘটেছে। ১২টি নির্বাচনী এলাকার ১৬টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হয়েছে। তবে এই ভোট যথেষ্ট অংশগ্রহণমূলক ছিল। অনেক কেন্দ্রে দেখা গেছে মা তাঁর ছোট শিশুসন্তানকে নিয়ে ভোট দিতে গেছেন। বিএনপি-জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্টের সন্ত্রাস এবং ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে গর্ভবতী নারী, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ সবাই ভোট দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। এটি স্বাধীন সার্বভৌম নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে করা সম্ভব হয়েছে। আর এর কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার।  নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এইচ টি ইমাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।