কুষ্টিয়ায় আবাসিক হোটেলের নামে দেহব্যবসা

0
4059

কুষ্টিয়া অফিস,গড়াইনিউজ২৪.কম:: কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত প্রাইম আবাসিক হোটেল। আবাসিক হোটেলের নামে পরিচিতি থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে চলে আসছে অনৈতিক কাজ। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে রমরমা এই দেহ ব্যবসা। আর এই অবৈধ পতিতালয়ে উঠতি বয়সী ছেলেদের আনাগোন বেশি। বিশেষ করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের। এতে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে হোটেল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গেটে ঢুকতেই বাবু সোনা আসো বলে রিসিপশনে দাঁড়িয়ে আছেন একজন। তারপর ভিতরে ঢোকার অনুমতি নিতে লাগবে মাত্র ২০ টাকা। দ্বিতীয় ধাপে আসবে কাস্টমারের পছন্দর নারী খোঁজা। সেখানে মাত্র ৩০ টাকা দিলেই মিলবে ইচ্ছে মত রমণীদের দেখে শুনে কথা বলে পছন্দ করার সুযোগ। কয়েকটি রুমে রয়েছে একাধিক নারী। বিভিন্নভাবে কাস্টমারকে আকৃষ্ট করতে তারা ব্যস্ত। পছন্দ হলে আর্থিক লেনদেনের দরকষাকষিতে মিলবে এ সুযোগ। পছন্দ না হলে ফিরে আসার ব্যবস্থাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে দুইধাপে দেওয়া ৫০ টাকা লোকসান। বাস্তবে এমন চিত্র দেখা গেছে। দরকষাকষির এক পর্যায়ে হোটেল থেকে ফিরে আসতে গেলে যেকোন একজন একটু আড়ালে ডেকে নিয়ে কিছু অশ্লীল কথোপকথন করে ও বিভিন্ন ভাবে নিজের শারীরিক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নিজেকে জাগান দেওয়ার চেষ্টাও করেন ওইসকল পতিতারা। কৌশলে পরিচয় জানতে চাইলে একজন ইন্টারমিডিয়টের ছাত্রী এবং বাড়ি ঢাকা বলে নিজেকে দাবিও করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই সকল অবৈধ দেহ ব্যবসায় জড়িতরা ভ্রাম্যমাণ পতিতা। এদের বড় ধরনের নেটওর্য়াক আছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় পরিবশে পরিস্থিতি বুঝে এই অবৈধ ব্যবসা করেন।  অথচ প্রাইম আবাসিক হোটেলটি শহরের মজমপুরের প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত। আবাসিক হোটেলর নামে দিনের পর দিন চলছে এই রমারমা দেহ ব্যবসা। এখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া উঠতি বয়সী তরুণসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের আনাগোনা রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাইম আবাসিক হোটেলের কর্মরত এক ব্যক্তি জানালে, আমি এখানে চাকরি করি। হোটেলের মালিক পক্ষ বিভিন্ন বয়সের নারীদের নিয়ে এসে পতিতাবৃত্তি চালিয়ে আসছেন। এই হোটেলে যেকোন সময়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ধরনের নারীর দেখা মিলবে বলে জানান তিনি। আবাসিক হোটেলের নামে এই অবৈধ পতিতালয়ের ব্যবসার বিষয়ে প্রাইম আবাসিক হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার রেজাউল মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে জানান, আমরা কয়েকজন লোকাল মেয়ে মানুষকে নিয়ে এ ব্যবসা করি এ কথা সত্য। অনেক কিছুই ম্যানেজ করে এ কাজ করি। আমি অন্য চাকরি খোঁজছি এই কাজ ছেড়ে দিবো বলে। আসলে আমারও পরিবার আছে। অন্য চাকরি পেলেই এ কাজ ছেড়ে দিব। এই নিউজ না করার জন্য প্রতিবেদকে অনুরোধ করেন হোটেল ম্যানেজার রেজাউল। এই বিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, আজকেই বন্ধ হয়ে যাবে প্রাইম আবাসিক হোটেল।