কুষ্টিয়ার জুগিয়ায় রব্বানি মিস্ত্রির বিরুদ্ধে যুবতীকে রাতভর ধর্ষনের অভিযোগ

0
1812

কুষ্টিয়া অফিস, গড়াইনিউজ২৪.কম::জ্বীন ভুতের আছর কাটাতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া দালাল পাড়ার কাচি কবিরাজ ওরফে রব্বানি মিস্ত্রির বিরুদ্ধে যুবতীকে রাতভর ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। ভন্ড কাচি কবিরাজের এই ধর্ষনের ঘটনা মিমাংশার নামে ধামা চাপা দিতে মরিয়া হয়ে পড়েছে এলাকার একটি মহল। তবে স্থানীয়রা কাচি কবিরাজের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে। সেই সাথে প্রশাসনের  দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। ভন্ড কবিরাজের সংখ্যা বৃদ্ধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কুষ্টিয়াতে। সর্ব রোগের ওষুধ দিতে এরা একদম ওস্তাদ। ঠিক তেমনি ভাবে জ্বীন ভুত তাড়ানো তাদের কাছে বা হাতের খেল। তাদের এমন ভন্ডামিতে সধারন বিপদগ্রস্থ মানুষ প্রতারিত হলেও ধর্ষনের ঘটনাও নতুন নয়। এলাকার প্রভাবশালী মহল ও অর্থের ছড়াছড়ির মাধ্যমে চিরকাল এসব নেক্কার জনক ঘটনা ধামা চাপা থেকে যায়। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবারে জ্বীন ভুতের আছর আছে এমনটাই ভুজন ভাজনে ভুলিয়ে চিকিৎসার কথা বলে বাড়িতে আসতে বলে বারখাদার উত্তর পাড়ার বেলা কে ( ছদ্দ নাম)। কাচি কবিরজের কথা মত ধর্ষিতার ভাই জ্বীন ভুত তাড়াতে সন্ধ্যায় তার বাড়িতে আসে। সে সময় বদ মতলব এটে রব্বানি ওরফে কাচি কবিরাজ তাদেরকে জানায়, সারা রাত ঝাড় ফুক করতে হবে এবং বহু মন্ত্র পড়ে আসনের মাধ্যম মধ্য রাতে জ্বীন হাজির করতে হবে। এই কথামত ভন্ড কবিরাজের উপর বিশ্বাস করে তারা ঐ কন্যাকে রাতে তার চিকিৎসা নিতে রাজি হয়ে চলে যায়। পরে আনুমানিক রাত ১ টা বাজলে যৌন উত্তেজক ট্যাবলয়েট খেয়ে লম্পট রব্বানি ভুতের রুপে আবির্ভাব হয়ে বেলা কে জোর পূর্বক উপর্যপুরী ধর্ষন করতে থাকে। সেই সাথে বলতে থাকে জ্বীন এখনই হাজির হবে এবং পালিয়ে যাবে। সারা রাত ধর্ষনের পর কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে বলে এ কথা জানালে বান মেরে তোর পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলবো। তারপরেও লম্পট কাচি কবিরাজের ধর্ষনের বিষয়টি বেলা তার ভাইকে জানায়। এক পর্যায়ে বিষয়টি এলাকার মধ্যে জানা জানি হলে প্রথম পর্যায়ে স্থানীয় মসজিদের ঈমাম ধর্ষনের বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে মিমাংসার আশ্বাস দেয়। পরে ধর্ষিতার পরিবার সেটা না মেনে নিতে চাইলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলীর কাছে ধন্যা দেয় লম্পট রব্বানি। সেই সাথে বিষয়টি মিমাংসার জন্য প্রভাবশালীদের স্মরানাপন্নও হতে দেখা গেছে। অনুসন্ধ্যানে আরও জানা যায়, এই লম্পট কাচি কবিরাজ মুলত একজন মিস্ত্রি। কিছু দিন আগে নিজেই ঝাড় ফুক শুরু করে এবং সাধারন মানুষকে জানায় সে জ্বীন ভুত তাড়ানো সহ যাবতীয় রোগের চিকিৎসা দিতে ওস্তাদ। আস্তে আস্তে সে তার কবিরাজির জন্য কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০% কমিশনে দালাল নিয়োগ করে। এসব দালালেরাই তার কাছে বিপদগ্রস্থ মানুষদের নিয়ে আসে। তার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশ মানুষই শাররীক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নোংড়া পানি ও বিভিন্ন  বিশ্রী জিনিস পত্র দিয়ে ঝাড় ফুক দেওয়ায় সুস্থ্য মানুষকে অসুস্থ্য করে ফেলে। স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানায়, অতিতেও বহু বার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে লম্পট রব্বানি। কবিরাজের মুখোশে সে মুলত লম্পট ও ভন্ড প্রকৃতির একটা মানুষ। তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন তারা। এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলী মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আগামী কাল আমরা দুই পরিবারকে নিয়ে মিমাংসার জন্য বসবো। তবে এই ধরনের কাজের জন্য আইনের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। এ বিষয়ে কাচি কবিরাজ মুঠোফোনে জানায়, একটা ঘটনা ঘটে গেছে। তা সমাধান হয়ে গেছে। আপনারা সংবাদ প্রকাশ করবেন না। আমি আপনার সাথে দেখা করবো। আমার পুলিশ থেকে শুরু করে সকল স্থরে হাত রয়েছে। অযথা সংবাদ প্রচার করে কোন লাভ হবে না বলে হুমকি দেয়।